এনআইডির তথ্য পাচারের মামলায় সাবেক সচিব জিয়াউল গ্রেফতার
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রির করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে বিষয়টি বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলের পর প্রকাশ পায়। বিকেলেই সাবেক এই সচিবকে নিয়ে সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম তাকে ঢাকায় নিয়ে রওনা হয়।
বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি ঢাকায় সিআইডি কার্যালয়ে পৌছাননি। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি আশরাফুজ্জামান দৌলা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব গ্রেপ্তার হওয়া এন এম জিয়াউল আলমও আসামী। এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি গত বছরের ৯ অক্টোবর ওই মামলাটি করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা এ মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামীরা সংশ্লিস্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রি করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের (ডিজিকন) মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এনআইডির তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, সিআইডির তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে পাঁচলাইশ থানার পেছনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসকের বাসা থেকে সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে গ্রেফতার করা হয়। ওই চিকিৎসক গ্রেপ্তারকৃত সচিবের স্ত্রীর বড় ভাই। গ্রেফতারের পর বুধবার বিকেলে তাকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হয় সিআইডির টিম।