মাদারীপুরে ‘কষ্টিপাথরের’ বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার
-
-
|

ছবি: বার্তা২৪.কম
মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের দেবরাজ এলাকা থেকে প্রায় ১৯ কেজি ওজনের পাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করেছে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় বিষ্ণু মূর্তিগুলো সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের দেবরাজ গ্রামের ইয়াকুর শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছে এগুলো কষ্টিপাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেবরাজ এলাকার ইয়াকুর শেখ নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য দুই দিন ধরে পুকুর থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করেন। সেখানে গভীরে খননে সময় মাটি মাখা পাথর সাদৃশ্য জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। পরে তার ভাতিজা উত্তোলন করে পানি দিয়ে ধুয়ে দেখতে পায় এগুলো পাথরের মূর্তি। আস্ত মূর্তির ভাঙা তিন টুকরাসহ মূর্তি বাড়িতে রাখেন।
স্থানীয়রা কেউ বলেন কালো পাথর, আবার কেউ বলেন কষ্টি পাথর। তাই কষ্টিপাথর পাওয়া গেছে এমন খবরে শতশত লোক রাতে কৃষক ইয়াকুব শেখের বাড়িতে ভিড় করে মূর্তি গুলো একনজর দেখার জন্য। এরপরে তারা পুলিশে খবর দেয়।
সদর থানার পুলিশ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় ছুটে গিয়ে মূর্তিগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কৃষক ইয়াকুর শেখ বলেন, ‘আমার ছেলের ঘর নির্মাণ করার জন্য ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় পুকুর থেকে মূর্তিগুলো ভেকুর মাটির সাথে উঠে আসে। এরপরে আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মূর্তি ও টুকরোগুলো থানায় নিয়ে যায়। এগুলো কষ্টিপাথর কি না সেটা যাচাই বাছাই না করে তারা কিছু বলতে পারবে না।’
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, ‘খবর পেয়ে আমরা সদর উপজেলার দেবরাজ গ্রামের ইয়াকুব শেখের ঘর থেকে একটি মূর্তি তিন টুকরো পাথর উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। পাথরগুলো দেখে মনে হচ্ছে কষ্টি পাথরের মূর্তি হবে। তবে এগুলো কষ্টি পাথর কিনা তা প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে ও পরীক্ষানিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মোকছেদুর রহমান বলেন,‘মাদারীপুর সদর থানার ঘটমাঝি ইউনিয়নের দেবরাজ এলাকার ইয়াকুব শেখের বাড়ি থেকে তিন টুকরো পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর মোট ওজন ১৮ কেজি ৮৮৮ গ্রাম। আসলে এগুলো কষ্টি পাথর কিনা তা এক্সপার্টরা বলতে পারবেন। আমরা প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরে সংবাদ দিয়েছি। তারা এসে পরীক্ষানিরীক্ষা করে যদি বলেন এগুলো কষ্টিপাথর তারপর আমরা নিশ্চিত হতে পারবো এবং তাদের কাছে হস্তান্তর করবো।’