মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক রহমান-মামুনের খালাস
-
-
|

মানি লন্ডারিং মামলায় খালাস তারেক রহমান-গিয়াস উদ্দিন মামুন
সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) আপিলের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর এ মামলায় মামুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের অনুমিত দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দণ্ড স্থগিত করা হয়। পরে মামুন আপিল করেন।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুদক রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলা দায়ের করে। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়।
এই মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।
মামলায় বলা হয়, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন, যা সিঙ্গাপুরে লেনদেন হয়। ওই টাকা পরে মামুন তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা দেন, যার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন।