১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে শনিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখার বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেলে রোববার (২৪ মে) দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপানের ঘোষনা দেওয়া হবে। তবে চাঁদ দেখা না গেলে রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়ে ঈদ উদযাপিত হবে সোমবার (২৫ মে)।
বিজ্ঞাপন
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য ইফার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
টেলিফোন নম্বর: ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭
মিনায় থাকার সুবিধাভেদে প্যাকেজমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ছবি: সংগৃহীত
ইসলাম
সৌদি আরবের নাগরিক এবং সৌদি প্রবাসীেদের জন্য ২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে দেশটির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়। প্যাকেজমূল্য গতবারের তুলনায় বেশি। চার প্যাকেজের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্য ২ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪ লাখ ২২ হাজার টাকা।
নুসুক ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানিয়েছে মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ। পরিবহন খরচ বাদে খরচ শুধুমাত্র মিনায় অবস্থানের সুবিধাভেদে প্যাকেজগুলো সাজানো হয়েছে। স্থানভেদে খাবারের সুবিধায়ও তারতম্য থাকবে।
প্রথম প্যাকেজ ১০ হাজার ৩৬৬ সৌদি রিয়াল (৩ লাখ ৩৫ হাজার), দ্বিতীয় প্যাকেজ ৮ হাজার ৯২ রিয়াল (২ লাখ ৬২ হাজার) এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন তৃতীয় প্যাকেজ ১৩ হাজার ৫০ সৌদি রিয়াল (৪ লাখ ২২ হাজার)। চতুর্থ প্যাকেজ ১২ হাজার ৫৩৭ সৌদি রিয়াল (৪ লাখ ৬ হাজার)।
প্যাকেজের আওতায় দেশটিতে বসবাসকারী বিদেশিরা ছাড়াও থাকবে সৌদি নাগরিকগণ। হজ যাত্রীদের সুবিধার্থে উন্নত সেবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ হজেযাত্রীদের দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিজ দায়িত্বে মক্কায় আসতে হবে। অর্থাৎ প্যাকেজগুলোতে কোনো পরিবহন সুবিধা নেই। কোরবানির খরচও প্যাকেজের বাইরে।
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বুকিং দেওয়া যাবে। নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েবসাইটে তা দেখা যাবে।
আগ্রহী হজ পালনকারীদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে। যেসব মহিলারা মাহরাম ছাড়া হজ পালন করতে চান, তাদেরকে যৌক্তিক কারণ দেখাতে হবে, যাতে মাহরাম ছাড়া তাদের হজ পালনের অনুমতি দেওয়া যায়।
মুমিন-মুসলমানের অজান্তে অনেক সময় গুনাহ হয়ে যায়। আর ছোট ছোট কিছু আমলের মাধ্যমে এসব গুনাহ মোচন হয় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর তা পড়তে বলেছেন। এমন একটি আমল হলো-
অর্থ: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক। তার কোনো অংশীদার নেই। তারই জন্য পুরো রাজত্ব। তার জন্য সব প্রশংসা। তিনি জীবিত করেন ও মৃত্যু দান করেন। তিনি সব বিষয়ে ক্ষমতাবান।
হাদিসে আছে, হজরত আবদুর রহমান বিন গানম (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের নামাজ শেষে ফিরে বসা ও পা সরানোর আগে উল্লিখিত দোয়াটি ১০ বার পড়বে মহান আল্লাহ তার জন্য প্রতি বারের বিনিময়ে ১০টি সওয়াব লিখবেন, ১০টি গুনাহ মাফ করবেন এবং ১০ স্তর মর্যাদা উন্নীত করবেন। ওই ব্যক্তি সব ধরনের অপ্রীতিকর বিষয় ও বিতাড়িত শয়তান থেকে সুরক্ষিত হবেন। শিরিক ছাড়া তার সব ধরনের ক্ষমা করা হবে। ওই ব্যক্তি আমলের দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হবে। তবে কেউ তার চেয়ে উত্তম জিকির পড়লে তার কথা ভিন্ন।’ -মুসনাদে আহমাদ: ১৭৯৯০
বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ কোটি টাকা জাকাত আদায় করা সম্ভব। মানুষকে জাকাত আদায়ে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব হলে ১০ বছরের মধ্যে এদেশে ভিক্ষা করার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সমাজ থেকে চুরি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, চোরাচালান, মাদকপাচার প্রভৃতি অপরাধ হ্রাস পাবে। সমাজের চেহারাটাই পাল্টে যাবে। আমাদেরকে আইএমএফ কিংবা আইডিবি ঋণ লাগবে না। আমরা স্বচ্ছল হয়ে যাব। অভাবগ্রস্ত মানুষের ঘরে স্বচ্ছলতার আলো জ্বালাতে পারব।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট’ (সিজেডএম) আয়োজিত ত্রয়োদশ জাকাত ফেয়ার ২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এসব কথা বলেন।
জাকাতের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা সামর্থ্যবান মুসলমানদেরকে জাকাত আদায়ের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সমাজে অভাব দেখা দিলে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। অভাব মানুষের স্বভাব নষ্ট করে। দারিদ্র্য দূরীকরণে জাকাতের বিকল্প নেই।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, জাকাত ইসলামের ফরজ বিধান। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্রিটিশ শাসনের কারণে এদেশে জাকাত আদায়ে শৈথিল্য এসেছে। অনেকেই জাকাত আদায়ের বিষয়ে খুবই উদাসীন। এটাকে অনেকে ইচ্ছামাফিক হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। এক্ষেত্রে জাকাত আহরণ ও বিতরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সিজেডএমের উদ্যোগকে উপদেষ্টা সাধুবাদ জানান।
আলেম-ওলামাদেরকে জাতির সম্পদ হিসেবে অভিহিত করে ড. খালিদ বলেন, তারা ঐক্যবদ্ধ হলে সমাজের যেকোনো পরিবর্তন ত্বরান্বিত করা সম্ভব। তারা সামাজিক শক্তির প্রতিভূ। তিনি দেশের উন্নয়নে ওলামা-মাশায়েখদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোঃ শামসুল আলমের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে প্যানেল আলোচকের বক্তৃতা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ, হজ ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের শরিয়া সুপারভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান মু: মোহাম্মদ ফরীদ উদ্দীন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের (ইত্তেহাদ) মহাসচিব মুফতি ওবায়দুল্লাহ হামজাহ ও বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা প্রমুখ।
সেমিনারে ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাকাত’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম আবদুল কাদের।
পরে উপদেষ্টা বাংলামটরে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ‘ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
তিনি এ অনুষ্ঠানে মানবিক সমাজ ও বৈষম্যমুক্ত দেশ বিনির্মাণে সনাতন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩২ জন পুরোহিত ও সেবাইত অংশগ্রহণ করছে।
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন নামাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়? কেন আপনার ঈমান বছরের বিভিন্ন সময়ে ওঠানামা করে, বিশেষ করে রমজান কিংবা হজ পালনের সময় তা বাড়ে, কিন্তু পরে আবার তা কমে যায়?
সম্ভবত এর কারণ হলো, আমরা হঠাৎ করেই দৈনন্দিন ব্যস্ততা থেকে সরাসরি ইবাদত-বন্দেগির পরিবেশ চলে যাই। একটি ফোন কল শেষ করেই তাকবির বলে নামাজ শুরু করি, অথবা রমজানে শুধুই পরিবেশের প্রভাবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলি, নিজের হৃদয়ের গভীর অনুভূতি থেকে নয়। অনেকেরই বিশ্বাস নির্ভর করে আসন্ন কোনো বড় ঘটনার ওপর।
যেমন আমাদের অনেকেই প্রতিজ্ঞা করেন- ‘এবার রমজান শুরু হলে প্রতিদিন কোরআন পড়া শুরু করব।’ ‘হজ থেকে ফিরে এলে প্রতি রাতে তাহাজ্জুদ পড়ব।’ ‘সন্তান জন্মের পর ধূমপান ছেড়ে দেব।’
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এই সংকল্পগুলো অনেক সময় পূরণ হয় না। কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ চেষ্টা করি, তারপর আবার আগের জীবনযাত্রায় ফিরে যাই। কারণ এগুলো শুধুই আবেগ থেকে জন্ম নেওয়া প্রতিশ্রুতি, বাস্তব পরিকল্পনা নয়।
এ জন্য আলেমরা বলেন, ঈমানকে টেকসই করার জন্য প্রস্তুতি দরকার। অনেক সময় রমজান বা হজের জন্য পরিকল্পনা করি না, বরং পরিস্থিতির প্রবাহের সঙ্গে এগিয়ে যাই এবং আশা করি, পরিবর্তন এমনিতেই আসবে। কিন্তু তা হয় না!
আপনি কি চান, রমজানের সময় আপনার ঈমান সত্যিকার উচ্চতায় পৌঁছাক? পবিত্র এ মাসের প্রভাব জীবনে স্থায়ী হয়ে থাকুক? তাহলে প্রয়োজন সচেতন প্রস্তুতির। এখানে রমজানের জন্য টেকসই প্রস্তুতির কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
রমজানের জন্য দিন গণনা করা রমজানের জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করুন। ঘরে ও অফিসের ক্যালেন্ডারে দিন গণনা করুন। এতে আপনার ও আশেপাশের মানুষের মধ্যে আগ্রহ ও উৎসাহ বাড়বে।
রমজান সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করুন রমজান শুধু সওয়াব অর্জনের মাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধিরও মাস। আপনি রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে যতবেশি জানবেন, ততবেশি তা আপনার জীবনে প্রভাব ফেলবে। এই মাসের বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া-দরুদ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন এবং সেগুলোর অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন।
রমজানে কোরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তুলুন, ছবি: সংগৃহীত
বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরি করা পুরো কোরআন খতম করবেন? প্রতি রাতে তারাবি পড়বেন? নিয়মিত দান-সদকা করবেন? এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, যা আপনি রমজানের পরেও ধরে রাখতে পারবেন। প্রতিদিনের পরিকল্পনা করুন এবং ঘুমানোর আগে পরবর্তী দিনের ইবাদতের রুটিন চূড়ান্ত করুন।
দৈনন্দিন জীবন বিশ্লেষণ করুন রমজান চলাকালে বা পরে আপনার জীবনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আছে কি? যেমন- পরীক্ষা, বিয়ে, চাকরির ইন্টারভিউ বা বাসা পরিবর্তন। এসব বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা করুন, যাতে রমজানের ইবাদত বাধাগ্রস্ত না হয়।
আধ্যাত্মিকভাবেও প্রস্তুতি নিন রমজান শুরু হওয়ার আগেই কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন। অতিরিক্ত নফল নামাজ পড়ুন, কোরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তুলুন, দান-সদকা বাড়িয়ে দিন, শাবান মাসে রোজা রাখার চেষ্টা করুন, যাতে রমজানের রোজা রাখতে সহজ হয়।
মনকে প্রস্তুত করুন রমজানে রোজা রাখা শুধু খাবার-পানীয় থেকে বিরত থাকার নাম নয়, বরং এটি ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণেরও পরীক্ষা। এখন থেকেই কথাবার্তায় সংযম অনুশীলন করুন- গীবত, অপবাদ ও অনর্থক আলোচনা থেকে বিরত থাকুন।
খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগ করুন আপনার জীবনে কোন কোন খারাপ অভ্যাস রয়েছে তা চিহ্নিত করুন এবং এখন থেকেই পরিবর্তন শুরু করুন। যদি দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে, তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে শিখুন। যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় নষ্ট করেন, তাহলে তা সীমিত করুন। যদি কফি বা ধূমপানের প্রতি আসক্ত হন, তাহলে তা ধীরে ধীরে কমান। প্রথমে কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু আন্তরিক নিয়ত ও আল্লাহর সাহায্য চাইলে, ইনশাআল্লাহ তা সহজ হয়ে যাবে।
ইবাদতকেন্দ্রিক জীবনযাত্রা গড়ে তুলুন নামাজকে আপনার সময়সূচির কেন্দ্রে রাখুন, নামাজের জন্য সময় নির্ধারণ করুন। কাজের মাঝে নামাজের বিরতি নিন। মসজিদে যাওয়ার সময় ফোন বন্ধ রাখুন। নামাজের সময় দুনিয়ার ব্যস্ততা ভুলে আল্লাহর দিকে মনোযোগ দিন।
রমজান একটি অনন্য সুযোগ, যা আত্মশুদ্ধি ও ঈমান বৃদ্ধির মাধ্যম। এটি শুধু ৩০ দিনের একটি উৎসব নয়, বরং জীবনের দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের শুরু হতে পারে।
আসুন, এ বছর আমরা রমজানের জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নেই- মন, হৃদয় ও আত্মাকে প্রস্তুত করি, যেন এই পবিত্র মাসের প্রভাব আমাদের জীবনে স্থায়ী হয়।
আল্লাহতায়ালা সবাইকে রমজানের বরকত অর্জন ও তার শিক্ষা বাস্তবায়নের তওফিক দান করুন।