হজ-উমরায় প্রতারণা থেকে বাঁচতে করণীয়

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হজ-উমরায় প্রতারণা থেকে বাঁচতে করণীয়, ছবি: সংগৃহীত

হজ-উমরায় প্রতারণা থেকে বাঁচতে করণীয়, ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় খবর মেলে, হজ-উমরা পালনকারীদের টাকা নিয়ে মোয়াল্লিম কিংবা হজ কাফেলার পরিচালক উধাও হয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা কয়েকদিন এদিক-সেদিক দৌঁড়ঝাপ করে চুপ করে যান। আবার নতুন কোনো স্থানে ঘটে একই ঘটনা।

প্রশ্ন হচ্ছে, বারবার কেন এমন ঘটনা ঘটছে। আর মানুষইবা তাদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে কেন?

বিজ্ঞাপন

পল্টন এলাকার এক এজেন্সির মালিক বলেন, ‘এসব লোভের ফল।’

তিনি বলেন, ‘কেউ উমরা প্যাকেজ ঘোষণা করল মাত্র ১ লাখ টাকায়। কম টাকায় উমরা পালনের লোভে অন্তত দুই-তিনশ’ মানুষ তার পাতা জালে আটকা পড়বে। সবাই অগ্রীম ১ লাখ করে দিলে টাকার পরিমাণ ৩ কোটি। পুলিশ ধরলে সর্ব্বোচ্চ ২-৩ মাস জেলে থাকতে হবে। কোর্ট-কাচারির খরচ, উকিলের ফি ও নানা জায়গায় সেলামিসহ জামিন খরচ ১০ লাখ। বিজ্ঞাপন খরচ ১ লাখ। আর কি লাগে? আখেরাত দিয়ে কি করবে? তারা তো জাহান্নাম চেনে না। কিন্তু আমরা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে হুমড়ি খেয়ে পড়লাম, একবারও মনে আসল না, আসলেই কী কম টাকায় উমরা করা যায়?’

বিজ্ঞাপন

তার মতে, ‘কিছু মানুষের অতিলোভ কিংবা নির্বুদ্ধিতা এই শ্রেণির মানুষদের ব্যবসায়ের প্রধান উপকরণ।’

এ জাতীয় প্রতারণা থেকে রক্ষায় করণীয় প্রসঙ্গে একাধিক হজ এজেন্সির মালিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোনো অবস্থাতেই কম টাকার প্যাকেজ খোঁজা যাবে না। অল্পমূল্যের অফার থেকে দূরে থাকতে হবে, টাকা কমের লোভ করা যাবে না।

সেই সঙ্গে এজেন্সির হজ ও উমরা লাইসেন্স আছে কিনা তা যাছাই করে দেখা, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তালিকা ও নাম যাচাই করে নেওয়া। কতদিন ধরে কাজ করছে তা জানা। এজেন্সির অফিসে লেনদেন করা। টাকা ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া।

মনে রাখতে হবে, উমরা শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত। তাই টাকা একটু বেশি লাগলেও বিশ্বস্ত মাধ্যমে যাওয়া। ফেসবুকের কমেন্ট আর ভিডিও দেখে সিদ্ধান্ত না নেওয়া। কারণ, ফেসবুকে কমেন্ট টাকা দিয়ে করানো যায়, আর ভিডিও ইচ্ছামতো সম্পাদনা করে ছাড়া হয়। এভাবে সাবধানতা অবলম্বন করলে, আশা করা যায় প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।