নতুন গ্রহাণুর সন্ধান, পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

চিলির বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন, যা পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। যদিও এর আকার খুব বড় নয়, তবে এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গ্রহাণুর শক্তি ৫০০টি পরমাণু বোমার সমান, যা বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে সক্ষম।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে ইউএস স্পেস এজেন্সি (NASA) এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রহাণুটি আঘাত হানার সম্ভাবনা ছিল ১.২ শতাংশ। তবে নতুন বিশ্লেষণে নাসা জানিয়েছে, এই সম্ভাবনা বেড়ে ২.৩ শতাংশ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুর সম্ভাব্য গতিপথের একটি মানচিত্র তৈরি করেছেন, যেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাদের মতে, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকার আটলান্টিক উপকূল, আরব সাগর এবং দক্ষিণ এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে এর লক্ষ্যপথ।

বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন, ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর এই গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। শনাক্ত হওয়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যে এর সম্ভাব্য আঘাত হানার পূর্বাভাস যেভাবে বেড়েছে, তাতে সাত বছর পর পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা এখনই বলা কঠিন।

বিজ্ঞাপন

গ্রহাণু হল সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা মহাকাশ শিলা, যা সাধারণত গ্রহের তুলনায় অনেক ছোট। বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরজগতের গঠনের সময় প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে এসব গ্রহাণু অবশিষ্টাংশ হিসেবে থেকে গেছে। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যে লাখ লাখ গ্রহাণু ঘুরছে, যা প্রধান গ্রহাণু বলয় নামে পরিচিত। কখনও কখনও এই গ্রহাণুগুলো বলয় থেকে বেরিয়ে এসে বিভিন্ন দিক ছড়িয়ে পড়ে, যা পৃথিবীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা সর্বদা পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে এমন গ্রহাণুর ওপর নজর রাখেন। চিলির একদল গবেষক গত ডিসেম্বরে ২০২৪ ওয়াইআর৪ নামে একটি গ্রহাণু শনাক্ত করেন, যার প্রস্থ ৪০ থেকে ৯০ মিটার। পরে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা ওয়েব টেলিস্কোপের সাহায্যে এর অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করেন। শুরুর দিকে এই গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ১ শতাংশ বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি পূর্বাভাস বাড়ানো হলে এটি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়।

তবে নাসার সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের পরিচালক পল চোডাস জানিয়েছেন, এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।