রক্তক্ষরণজনিত রোগীদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলো মেডট্রনিক বাংলাদেশ
মেডট্রনিক বাংলাদেশ প্রাইভেট দ্বারা পর্যালোচিত ওনিক্স ওয়ান গ্লোবাল স্টাডিজ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি ওনিক্স ওয়ান গ্লোবাল স্টাডি ও ওনিক্স ওয়ান ক্লিয়ার স্টাডি 'মেডট্রনিক ওনিক্স ওয়ান মান্থ ডিএপিটি' শীর্ষক প্রোগ্রামে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে মেডট্রনিক বাংলাদেশ জানায়, এইচ বি আর ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ওনিক্স স্টেন্টের সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি রয়েছে ডিএপিটি ও পিসিআইয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রায় ২ হাজার উচ্চ রক্ত চাপের ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের এক মাসে ডুয়াল অ্যান্টিপ্লাটিলেট থেরাপির ভিত্তিতে এবং মাল্টিসেন্টারের পর্যালোচনায় প্রকাশ করা হয় দুটি ড্রাগ ইলিউটিং স্টেন্টের (ডিইএস) ক্লিনিক্যাল ফলাফল।
এইচ বি আর রোগীদের ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের প্রতিনিধিত্ব করে ওনিক্স ওয়ান গ্লোবাল স্টাডি, যা শুধুমাত্র এইচ বি আর ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ছাড়াও আরও বেশ কিছু চিকিৎসা সম্পর্কিত কার্যাবলী নিজেদের আওতাভুক্ত করেছে যেমন, অ্যান্টিকোয়াগল্যান্টের ব্যবহার নেফ্রোলজি ব্লাড ফিউশন ও সার্জারি। এ সকল রোগ এর সাথে সম্পর্কিত রোগীরাও ওনিক্স ওয়ান গ্লোবাল স্টাডিজের অন্তর্ভুক্ত।
সাম্প্রতিক পর্যালোচনার ফলাফলে কম রেজ্যুলেট ওনিক্সের সাথে বায়োফ্রিডম ড্রাগ কোটিং স্টেন্টের তুলনা করা হয়েছে যা ইউরোপিয়ান সোসাইটি ফর কার্ডিওলজিতে ডিইএস ঝুঁকিপূর্ণ রোগী যাদের এক মাস ডিএপিটি প্রদান করা হয় এবং তাদের গাইডলাইন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। রেজ্যুলেট ওনিক্স ও বায়োফ্রিডম এর সমন্বিত ফলাফল অনেক বেশি চমকপ্রদক ও দুর্দান্ত যার ফলস্বরুপ মাত্র এক বছরে লীজান রিভাসকুলারাইজেশন (টিএলআর) কমে দাঁড়িয়েছে ২.৮ শতাংশে।
এসময় মেডট্রনিক ফ্রন্টিয়ার মার্কেটের সিনিয়র ডিরেক্টর ক্রেইগ মার্ফি বলেন, 'মেডট্রনিক পুরোনো জটিল রোগীদের ক্লিনিক্যাল তথ্য সংগ্রহ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ, পাশাপাশি যে সকল প্রযুক্তি রোগীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে সে সকলের উন্নয়নের জন্য মেডট্রনিক কাজ করতে বদ্ধপরিকর।'
বিশ্বব্যাপী ১৪০ টি সাইটে প্রায় ২,৭০০ রোগী তাদের আওতাভুক্ত রয়েছেন বলে জানানো হয়।
প্রোগ্রামে ইউনাইটেড হাসপাতাল ঢাকা লি. এর কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এন. এ. এম মোমেনুজ্জামান বলেন, 'বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী পিসিআই (পার্কিউটেনিয়াস করোনারি ইন্টারভেনশন) রোগীরাই রক্তপাতের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। ওনিক্স ওয়ান গ্লোবাল স্টাডি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের পিসিআই অনুসরণ কারে ডিএপিটির সময়সীমা নির্ধারণ করেছে যা উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।'