আদিবাসী ভাষার পাঠদানে ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করছে সরকার: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য বই ছাপিয়েও শিক্ষক সংকট থাকায় পাঠদান না হওয়ায় অর্থের অপচয় হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ডিজিটাল ক্লাস দেখে শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে এবং অন্য শিক্ষকরাও দেখে দেখে শিখতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পারবেন। বইগুলো বেকার পড়ে থাকবে না। এটি হলে কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হবে। যারা এসব ভাষা জানেন তাদের দিয়ে সুন্দর সুন্দর লেকচার তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটি বড় সমস্যা নির্দিষ্ট ভাষার শিক্ষক নিয়োগ করা। আমাদের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যে কাঠামো রয়েছে তাতে আমরা দেখি ওই ভাষার শিক্ষক টিকতে পারছেন না। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োগ প্রক্রিয়া তাদের নিজস্ব। ফলে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। শিক্ষকেরও সংকট আছে, খুঁজে পাওয়াও কঠিন। আমরা আশু সমাধানের জন্য যা করব তা হলো, সমস্যা সমাধানের জন্য ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবি ও আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা একটি সুচিন্তিত মতামত দেয়ার জন্য পরামর্শক কমিটি তৈরি করেছিলাম। সেখানে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ এবং প্রাথমিক শিক্ষার সাথে যুক্ত ব্যবস্থাপকদের যুক্ত করা হয়েছিল। তারা পরামর্শ দিয়েছে, প্রাথমিকে শিক্ষকরা জয়েন করবে ১৩ বা ১২তম গ্রেডে। এরপর প্রশিক্ষণ নিবেন এবং তাদের চাকরি স্থায়ী হবে দুই বছরে। চাকরি করার পর সবমিলিয়ে ৪ বছর পর তাদের পদোন্নতি হবে। পদোন্নতি পেয়ে জ্যৈষ্ঠ বা সিনিয়র শিক্ষক হবেন ১১তম গ্রেডে।

উপদেষ্টা বলেন, যখন ১১তম গ্রেড হবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ সহকারী প্রধান শিক্ষক হবেন এবং তখন তারা আলাদা বাড়তি একটা ভাতা পাবেন। এখন যারা প্রধান শিক্ষক হন, তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতি ও ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ হবেন। তারা এই পদ্ধতিকে বাতিল করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শত ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে করার সুপারিশ করেছে পরামর্শক কমিটি। তবে সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকবে।