দেশের আনাচে কানাচে থাকা লোক সংস্কৃতি ও লোক ঐতিহ্যের ঘরোয়া খাবারগুলো শহুরে মানুষের দ্বারে পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে কুষ্টিয়ার কুলফি আর বগুড়ার দই নিয়ে বাণিজ্য মেলায় জায়গা করে নিয়েছে 'ফোক ফুড'।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় অবস্থিত অস্থায়ী শিশু পার্কের পাশেই দুই জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে বসেছে ফোক ফুড নামের স্টলটি।
বিজ্ঞাপন
বগুড়ার বিখ্যাত দই আর কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী কুলফি মালাইকে বেঁছে নিয়ে লোক-সংস্কৃতির সুস্বাদু খাবারটি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে বাণিজ্য মেলায় স্টল নিয়ে বসেছে 'ফোক ফুড'। তারা ক্রেতাদেরকে অতিথির মতো পরিবেশন করছে এবং ইতিমধ্যেই প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে ছোট্ট এই স্টলটি।
কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী কুলফি মালা
ফোক ফুড এর মালিক তাজ্জিত আক্তার সোমা বলেন, 'আমার শশুর বাড়ি কুষ্টিয়ায়, শশুর বাড়ির ঐতিহ্যকে সবার সামনে তুলে ধরতেই কুলফি মালাই এবং বগুড়ার দই নিয়ে আমার এই উদ্যোগ। সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি হয় আমাদের এই পণ্য। বর্তমানে ভেজাল পণ্যের যুগে মানুষকে ফ্রেশ জিনিস খাওয়ানোটাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছ। মানুষকে বিশ্বাস করাতে কষ্ট হয় যে এটা আসলেই কুষ্টিয়া থেকে আনা কুলফি এবং বগুড়া থেকে আনা দই। ইনশাআল্লাহ এটার ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।'
বিজ্ঞাপন
কুলফি খেতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তানজিলা আরবি বলেন, মেলায় অনেক ধরনের খাবারের দোকান থাকলেও এটি একটি ভিন্নধর্মী স্টল। এখানে কুলফি খেয়ে কুষ্টিয়ার আসল কুলফির স্বাদ পেয়েছি।
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদ উৎসব কে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে দেশের বিপণিকেন্দ্রগুলো। নতুন জামার সঙ্গে নতুন টাকায় ঈদ সালামি বাড়তি আনন্দ দেয় শিশুদের। তাই তো শিশুদের ঈদের আনন্দ দ্বিগুন করতে নতুন টাকায় ঈদ সালামি দেয়ার চেষ্টা থাকে বাড়ির মুরুব্বীদের। সে চেষ্টায় এবার ভাটা পড়ছে ব্যাংক থেকে নতুন নোট সরবরাহ বন্ধ থাকায়। বাড়তি চাহিদায় নতুন টাকার বান্ডিলের মূল্য বেড়েছে খোলাবাজারে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর গুলিস্তানে নতুন টাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এদিন অনেক ক্রেতাকে নতুন টাকা কিনতে আসলেও বাড়তি দামে ফিরে যেতে দেখা যায়।
এবার নতুন নোটের বাড়তি চাহিদা ও দাম বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে নতুন নোট বিনিময় স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংককে দেয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি। সে চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সব নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুন নোটের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ১০ ও ২০ টাকার নোটে। তাই এসব নোটে বাড়তি দামও হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। ১০ টাকার এক ব্যান্ডেল টাকায় ১০০ নোটে এক হাজার টাকা হলেও দাম হাকাচ্ছেন ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা পর্যন্ত। একই অবস্থা ২০ টাকা নোটের ক্ষেত্রেও। ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা বাড়িয়ে এক বান্ডেল নোটে বিক্রেতারা দাম হাকাচ্ছেন ২৬০০ থেকে ২৬৫০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়াও ২ টাকার ১০ বান্ডিল (২ হাজার টাকা) নতুন নোটের দাম চাওয়া হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। ৫ টাকার এক বান্ডিল (৫০০ টাকার মূল্যমান) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। ৫০ টাকার এক বান্ডিল (৫ হাজার টাকা) নোটের দাম বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা।
বাড়তি দামের কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর ঈদে নতুন টাকা ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু এবছর বন্ধ। আমাদের যে ব্যাংক কর্মকর্তারা টাকা সরবরাহ করেন তারাও চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারছেন না। আবার ব্যাংক থেকে নতুন টাকা না দেয়ায় আমাদের কাছে ক্রেতারা বেশি আসছেন। তাই স্বাভাবিক কারণেই দাম বেড়েছে নতুন নোটের।
নতুন নোটের বান্ডিল নিতে গুলিস্তানের টাকা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দর-দাম করছিলেন ফাতেমা খাতুন। মধ্যবয়সী এই নারী একজন গৃহকর্ত্রী। ঈদে পরিবারের শিশুদের মাঝে ঈদ সালামি বিতরণ করতে নতুন টাকা কিনতে এসে দাম শুনে কিছুটা হকচকিয়ে গেছেন তিনি।
ফাতেমা খাতুন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আসলে ঈদ একটা আনন্দের বিষয়। তাই প্রতিবছর ঈদ সালামিটা আমি নতুন টাকায় দেয়ার চেষ্টা করি। ১০০-১৫০ টাকা বাড়তি দিয়েই নতুন টাকার বান্ডিল কিনতে পারলেও এবার অনেক বেশি দাম চাচ্ছে। ১০ টাকা নোটের এক বান্ডিল টাকায় ৫০০ টাকা বেশি দিয়েও পাচ্ছি না। বিক্রেতা ৬০০ টাকায় চায়।
রুবেল মিয়া নামের আরেক ক্রেতা বার্তা২৪.কম কে বলেন, নতুন টাকা কিনতে আসছিলাম। ঈদ এগিয়ে আসলে দাম বেড়ে যাবে তাই নতুন টাকা নিতে একটু আগেভাগেই আসা। তবে তাতে খুব একটা উপকার হয়নি। ব্যাংক থেকে নতুন নোট না ছাড়ার অজুহাতে দাম বাড়িয়ে ফেলছে। দাম বাড়লেও নিতে ত হবেই। এখন দেখি কোথায় একটু কম পাই।
এবার নতুন নোটের বান্ডিলের চাহিদা ও দাম কেমন জানতে চাইলে গুলিস্তানে ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে নতুন টাকার ব্যবসা করে আসা ব্যবসায়ী শাহিন আহমেদ বার্তা২৪.কম কে বলেন, ব্যাংক ত নতুন টাকা দিচ্ছে না। আমরা ব্যাংকের যাদের মাধ্যমে নতুন টাকা পাইতাম তারাও আমাদের চাহিদামতো টাকা দিতে পারতেছে না। এখনও ত কিছু টাকা বেশি দিয়ে হলেও বিক্রি করতে পারতেছি, আর কয়দিন গেলে নতুন টাকায় থাকবে বলে মনে হয় না।
দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ তার সাপ্লাই চেইন পার্টনারদের অসামান্য অবদান উদযাপনে সম্প্রতি আয়োজন করেছে “বিকাশ পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫”। অ্যাওয়ার্ডটির ৫ম সংস্করণে আটটি বিভাগে বিকাশ তার ১৮ সেরা সাপ্লাই চেইন পার্টনারকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যারা তাদের কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দেশব্যাপী বিকাশের কার্যক্রম পরিচালনায় অসাধারণ সমর্থন যুগিয়েছে।
ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেশজুড়ে কোটি গ্রাহকের কাছে বিকাশ-এর সেবাগুলো নির্বিঘ্নে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে সাপ্লাই চেইন পার্টনারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়। এই অনুষ্ঠানে অপারেশনাল এক্সিলেন্স, কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রিটি, প্রো-অ্যাকটিভ সাপোর্ট অ্যান্ড কোলাবোরেশন, এবং পার্টনার প্রোফাইল ব্যবস্থাপনায় তাদের কর্মক্ষমতার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এই অনুষ্ঠানে বিকাশ-এর চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর, ইভিপি ও হেড অব সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুল আলম এবং পার্টনার কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, “বিকাশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যেকোনো ব্যবসায় অংশীদাররা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, কেননা দুপক্ষই লাভবান হয় এমন টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক নিশ্চিতে প্রয়োজন হয় প্রচুর উদ্যম ও চেষ্টার। সেই বিশ্বাসেরই স্বীকৃতি এই অনুষ্ঠান।”
একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিকাশ তার সাপ্লাই চেইন পার্টনারদের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রতিটি বিভাগের বিজয়ীদের ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান করে সম্মাননা জানানো হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করল দেশের নাম্বার এয়ারকন্ডিশনার ব্র্যান্ড ওয়ালটন। সেইসঙ্গে দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মত কমার্শিয়াল এসি রফতানি কার্যক্রম শুরু করেছে ওয়ালটন।
বিশ্বের সেরা ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার লক্ষ্যে ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আাফ্রিকার নতুন নতুন দেশে প্রতিনিয়ত নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করে চলেছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় ব্র্যান্ড নামে এসি রফতানি করল গ্লোবাল এই ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড।
ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওয়ালটনের রেসিডেন্সিয়াল এবং কমার্শিয়াল এসির প্রথম শিপমেন্ট শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়েছে। ওয়ালটনের হাত ধরে বাংলাদেশ থেকে কমার্শিয়াল এসি রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বাজারে ওয়ালটন এসি বিক্রয় এবং বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করবে দেশটির খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান মনিক ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড।
ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার মো. তানভীর রহমান জানান, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া অঞ্চলের উন্নত দেশগুলোতে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে ব্যাপকভাবে কাজ করছে ওয়ালটন এসি। এরই ধারাবাহিকতা শ্রীলঙ্কার বাজারে ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় এয়ার কন্ডিশনারের এক বিশাল বাজার রয়েছে। দেশটির বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের শক্তিশালী অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে শক্তিশালী বিক্রয়, বিপণন ও বিক্রয়োত্তর সেবার ফ্যাসিলিটি। ওয়ালটন এসির সর্বোচ্চ গুণগতমান, পরিবেশবান্ধব সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার ক্রেতাদের আস্থা জয় করে নিবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে আন্তর্জাতিক মানের ম্যানুফ্যাকাচারিং প্ল্যান্টে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের টেকসই পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎসাশ্রয়ী স্পিট, ক্যাসেট, সিলিং, চিলার ও ভিআরএফ এসি উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব এসিতে আছে ফ্রস্ট ক্লিন, এয়ার প্লাজমা, থ্রি-ইন-ওয়ান কনভার্টার টেকনোলজি, স্মার্ট কন্ট্রোলসহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার।
এছাড়াও আছে অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এসি, ব্লুটুথ ও এয়ার প্লাজমা ফিচারের থ্রি-ইন-ওয়ান কনভার্টার প্রযুক্তির এসি। ওয়ালটনের ক্যাসেট টাইপ এসি ইন্টারনেট ছাড়াই ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্টফোন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পাশাপাশি ওয়ালটন এসির কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর-২৯০ গ্যাস।
আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরই ওয়ালটনের প্রতিটি এসি স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে ছাড়া হয়।
চলতি বছরের ইজারা প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)। যার ফলে রাজস্ব আয় বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এক রাতে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অত্যন্ত বেশি। এবারের ইজারা প্রক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ।
এর আগে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ইজারা আয় ছিল সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে এবার ইজারা বাবদ আয় হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা, যা মূলত হাট বাজার, পুকুর, বাসস্ট্যান্ড, এবং শৌচাগারের বার্ষিক লিজ প্রদান বাবদ অর্জিত হয়েছে। পূর্বে কেন এত কম রাজস্ব আয় হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিসি প্রশাসন।
গত বছরের তুলনায় এবারে হাট বাজারগুলোর ইজারা অনেক বেশি দামে হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বরিশাল জেলা পাইকারি মৎস্য বাজার থেকে আয় হয়েছিল ১০ লাখ টাকা, কিন্তু এবার এটি ইজারা হয়েছে ৭০ লাখ টাকায়। একইভাবে, রুপাতলী হাউজিং বাজারের ইজারা বেড়ে ২০ লাখ টাকা হয়েছে, যা পূর্বে ছিল ৭৪ হাজার টাকা।
বিসিসি প্রশাসক রায়হান কাওছার জানান, আমরা আইনের বাস্তবায়ন করেছি এবং কৌশল করে টেন্ডার ড্রপিং পয়েন্ট বাড়িয়ে দিয়েছি। এর ফলে, আগে যেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতো, সেখানে এবারে ছিল শান্তি। এখন একে অপরকে দোষারোপের পরিবর্তে সরকার এবং জনগণ সমানভাবে উপকৃত হচ্ছে।
এছাড়া, এবারে বিপুল সংখ্যক দরপত্র ফরম বিক্রি হয়েছে, যার পরিমাণ ছিল ৭০০টি, যা বিগত ১৫ বছরে সর্বোচ্চ। এই ইজারা প্রক্রিয়া এতটাই স্বচ্ছ ছিল যে, আগে যেসব শক্তিশালী সিন্ডিকেটের দখলে ছিল, তারা এখন একেবারে বাহিরে। প্রশাসন এসব পরিবর্তন নিশ্চিত করার মাধ্যমে রাজস্ব আয়কে বৃদ্ধি করেছে এবং সবার জন্য এই প্রক্রিয়াকে উন্মুক্ত করেছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে। আমরা ই-টেন্ডার চালু করার কথা ভাবছি, যাতে ভবিষ্যতে আরও স্বচ্ছতা বজায় থাকে।