জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি ২৩ মার্চ
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের (জেট ফুয়েল) দাম বৃদ্ধি প্রস্তাবের উপর ২৩ মার্চ গণশুনানি করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। প্রথমবারের মতো অুনষ্ঠিত হতে যাওয়া জেট ফুয়েলের গণশুনানিতে অংশ নিতে হলে ১৮ মার্চ তারিখের মধ্যে তালিকাভুক্ত হতে হবে।
বিইআরসি কার্যালয়ের শুনানি কক্ষে ওই গণশুনানি গ্রহণ করা হবে বলে এক খবর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের (জেট ফুয়েল) দাম নির্ধারণ করার জন্য কয়েক মাস আগেই বিইআরসিতে চিঠি দিয়ে রেখেছে বিপিসি। এতদিন বিপিসি নিজেরাই নির্ধারণ করতো জেট ফুয়েলের দাম। গত ১৮ সেপ্টেম্বর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার বিইআরসির উপর ন্যাস্ত করা হয়। এরপর বিপিসির পক্ষ থেকে দাম সমন্বয়ের আবেদন দেওয়া হয়।
বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, যেহেতু আগে থেকে কোন ফর্মূলা নেই, সে কারণে আমরা বিপিসির সঙ্গেও বসেছি, তাদের ফর্মূলা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, দুবাই, জেদ্দা ও প্রবাসী অধ্যুষিত দেশগুলোর জেট ফুয়েলের দর যাচাই করা হচ্ছে। বিপিসি কলকাতা, করাচি, দিল্লীর উদাহরণ টেনেছে, প্রবাসী অধ্যুষিত রুটের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। শুনানির মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হবে।
২০০৩ সালে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন পাশের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিইআরসি গঠিত হয়। গ্যাস ও বিদ্যুতের বিতরণ কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা এবং ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত বিইআরসি মূলত ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে। আইনে সকল ধরণের জ্বালানির দাম নির্ধারণের এখতিয়ার দেওয়া প্রবিধানমালা ঝুলে থাকায় শুধুমাত্র গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে আসছিল বিইআরসি। এ পর্যন্ত ১৩টি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আর ১২টি প্রবিধানমালা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে রাখা হয়েছে।
২০২৩ সালে হঠাৎ করেই আইন সংশোধন করে নির্বাহী আদেশে দাম সমন্বয় (কম/বেশি) করার বিধান যুক্ত করা হয়। তারপর থেকে কার্যত বেকার হয়ে পড়ে আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠানটি। বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে দাম চুড়ান্ত করায় ইউটিলিটিগুলোর নানা রকম অসঙ্গতি সামনে আসতো। এতে করে তাদের উপর এক ধরণের চাপ তৈরি হয়, দিনে দিনে একটি কালচারে পরিণত হতে যাচ্ছিল। সেই প্রক্রিয়াকে গলাটিপে হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের ধারা বাতিল করে দিয়েছে।
নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আইন বাতিল করে ২৭ আগস্ট গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের একক ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জেট ফুয়েলের বিষয়টি বিইআরসির উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে। তবে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম এখনও নির্বাহী আদেশে সমন্বয় অব্যহত রয়েছে।