শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন, বহিষ্কৃত ৪ ছাত্র
-
-
|

শিক্ষককে কেরোসিন ঢেলে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় চার ছাত্রের বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে রাস্তার টেনে এনে কেরোসিন ঢেলে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় চার ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি মামলায় মাহমুদুল হাসান নামের এক ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। অপর তিন ছাত্রকে আত্মপক্ষের সমর্থন রেখে এক বছরের বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানান (ইউএসটিসির) প্রক্টর নুর-ই-আলম সিদ্দিকী।
সংবাদ সম্মেলনে প্রক্টর বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে একজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। বিষয়টি অধিকতর তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।
তিনি আরও জানান, তদন্তের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ছাত্র মাহমুদুল হাসানের ছাত্রত্ব বাতিল করে স্থায়ী বহিষ্কার ছাড়াও মাইনুল আলম, শেখ রাসেল ও মোঃ আরিফ হোসেন নামে তিন ছাত্রকে এক বছরের বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে প্রক্টর নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্টার দিলীপ কুমার বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দায়ের করা মামলার বাদী। এছাড়াও সম্মেলনে সহকারী প্রক্টর এস এম সোয়েব, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবদুর রশিদ ও বৈশাখী বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, গত ২ জুলাই ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকলোলজি (ইউএসটিসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা ড. মাসুদ মাহমুদক কেরোসিন ঢেলে দেয় কিছু শিক্ষার্থীরা। এমনকি ঘটনার পরে ওই শিক্ষার্থীরাই রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে দেয়। শিক্ষক মাসুদ মাহমুদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর শিক্ষকতা শেষে ইউএসটিতে যোগদান করেন। মাস্টার্সের কোর্স কারিকুলামে অংশ হিসেবে তিনি নারীর শারীরিক বৃত্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়ান। তবে শিক্ষার্থীরা এটিকে ইচ্ছাকৃত যৌন নিপীড়ন বলে আন্দোলন নামেন।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানির পর চট্টগ্রামের সুধী সমাজ থেকে শুরু করে সবাই এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। অবস্থা বেগতিক দেখে শিক্ষাউপমন্ত্রী বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুনঃ