জাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষককে ‘লাঞ্ছনার’ অভিযোগ
-
-
|

অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক আতিকুর রহমান, ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক নারী শিক্ষককে 'লাঞ্ছিত' করার অভিযোগ উঠেছে ইতিহাস বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। আর এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষক।
অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী শিক্ষক সূত্রে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে ভুক্তভোগী শিক্ষক নেপালে যাওয়ার ছুটি আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়। পরে তিনি ইমিগ্রেশনের জন্য ‘নো অবজেকশন লেটার’ নিতে উপাচার্যের বাসায় যান। এ সময় উপাচার্যের বাসাস্থ অফিসে প্রবেশ করলে সেখানে অভিযুক্ত অধ্যাপক আতিকুর রহমানকে কম্পিউটারে টাইপরত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। সৌজন্যতা স্বরূপ কী করছেন জিজ্ঞেস করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। হঠাৎ করে রুঢ় কণ্ঠে অধ্যাপক আতিক জানান তিনি উপাচার্যের বাসায় চাকরি নিয়েছেন।
‘জুনিয়র’ শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও অধ্যাপক আতিকুর রহমানের এমন আচরণের কারণ জানতে চান তিনি। এতে অধ্যাপক আতিকুর রহমান আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ‘উচ্চবাচ্য’ করতে থাকেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান ভুক্তভোগী নারী শিক্ষক।
তবে কি কারণে অধ্যাপক আতিকুর রহমান এমন আচরণ করছেন তা জানাতে পারেননি ভুক্তভোগী শিক্ষক। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী অধ্যাপক আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা' গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। তবে ঘটনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষক।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের থেকে এমন আচরণ কখনো কাম্য নয়। উনি আমার সঙ্গে যা করেছেনে তার শাস্তি উনি পাবেন। উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নিতে দেখিনি।’
এ বিষয়ে অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু বাক্যালাপ হয়েছিল, তবে তার দায়ভার সিংহভাগ তার। কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রশ্নই আসে না। তবে এটা অনাকাঙ্ক্ষিত, একজন শিক্ষক হয়ে আরেকজন শিক্ষকের সঙ্গে এ ধরনের বাক্যালাপ না হওয়াই ভালো।’