হিজাব-নেকাব পরা ছাত্রীদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত ঢাবির

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নারী শিক্ষক, নারী কর্মকর্তা ও নারী কর্মচারীদের মাধ্যমে নেকাব ও হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাছাড়া পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্টিং বা বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালুর সম্ভাব্যতার বিষয়টি যথাসময়ে যাচাই করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) উপাচার্যের সভাকক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিনস্ কমিটির এক সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা বিবেচনায় রেখে নারী শিক্ষক/নারী কর্মকর্তা/নারী কর্মচারীদের মাধ্যমে নেকাব ও হিজাব পরিহিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনে নারী সহকারী প্রক্টরের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্টিং বা বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালুর সম্ভাব্যতার বিষয়টি যথাসময়ে যাচাই করা হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা চলাকালে তাহমিনা তামান্না নামের এক ছাত্রীর পরিচয় শনাক্তে নেকাব খুলতে বলেন বিভাগের এক শিক্ষক। পরে বিভাগের চেয়ারম্যান এসে তার নেকাব খুলতে বললে নেকাব খুলবেন না বলে জানান ওই ছাত্রী। পরে নারী শিক্ষকের উপস্থিতিতে তার নেকাব খুলে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তের সামগ্রিক সিস্টেমের বিরোধিতা করেন তাহমিনা তামান্না। এসময় তিনি তিন দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো–

১. অনতিবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা ও ভাইভায় সনাতনী পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের চেহারা দেখে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করতে হবে।

২. বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার পূর্ব পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও ভাইভায় নারী শিক্ষকের মাধ্যমে শনাক্ত করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. ইতোপূর্বে নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘটিত প্রতিটি নিপীড়ন ও হেনস্তার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সব নিপীড়কের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।