আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ঢাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
-
-
|

ছবি: বার্তা ২৪
দেশব্যাপী ছিনতাই, হামলা, চাঁদাবাজী, ধর্ষণের মত অপরাধসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে দাবি করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি)বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান সানি, অর্থনীতি বিভাগের আহমেদ হোসেন জনি বলেন,ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ আলী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুল আহসান মারজান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত।
প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান সানি বলেন, দেশে হঠাৎ করে ধর্ষণ, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা, শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসা। আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে নিরাপদে বাঁচতে চাই। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা রাষ্ট্রের দিতে হবে।
এসময় তিনি ধর্ষকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অপারেশন ডেভিল হান্টের মতো 'অপারেশন রেপিস্ট হান্ট' শুরু করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের আহমেদ হোসেন জনি বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার হুমকি সমাজে উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। ক্রমবর্ধমান অপরাধমূলক কার্যকলাপ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা নাগরিক জীবনে অনিরাপত্তার বোধ সৃষ্টি করছে। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এই ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যাতে অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি প্রদান করা এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা যায়। একইসঙ্গে, সাধারণ মানুষকেও এই সমস্যার সমাধানে সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুল আহসান মারজান বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব হলো দেশের মানুষের জান, মাল ও ইজ্জতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু তিনি তা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তিনি মিডিয়াতে দায়সারা বক্তব্য দিচ্ছেন যে অমুক ফোর্স কাজ করছে না। সে যদি কাজ করাইতেই না পারে তাহলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদে তাকে আর প্রয়োজন নেই। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করুক। এসময় তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তার দায়িত্ব কঠোরভাবে পালন করতে বলেন এবং যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে বলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত সরকারের আমলে ধর্ষণসহ নানা অপরাধের বিষয়ে কোন বিচার হয়নি। সেজন্য অপরাধীরা সাহস পেয়ে গিয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন এসব বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে শক্তহাতে অপরাধীদের দমন করতে।