এম. সি কলেজে হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
সিলেটের এম. সি কলেজের শিক্ষার্থীর উপর শিবিরের মারধর ও রগ কাটতে চাওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে হামলায় জড়িয়ে দ্রুত বিচারের আওতায় দাবি জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নয়টায় দিকে রাজু ভাস্কর্যে করা এক সমাবেশে এ কথা জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন , আমার ক্যাম্পাসের ত্রাস খ্যাত ছাত্রলীগকে ৫ আগস্টের সময় বিতাড়িত করেছিলাম । আমরা ৫ আগস্টের পর দেখেছি বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবারো সন্ত্রাসী চালু করছে চাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আমরা গতকাল দেখেছি সিলেটের এম সি কলেজের শিক্ষার্থীর উপর কেমনভাবে শিবির হামলা চালায়। আবার দেখেছি গত পরশু কুয়েটের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদল কীভাবে হামলা চালায় ।যেকোনো ধরনের হামলা, সন্ত্রাস শিক্ষার্থীরা আর দেখতে চায় না। আগামীতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন হিসেবে কাজ করতে হলে শিক্ষার্থীদের মত অনুসারে কাজ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র সংগঠনের কমিটি রয়েছে। কিন্তু শিবিরের কমিটি খুব ছোট। হলের কমিটিগুলো এখনো তারা প্রকাশ করে নি। তিনি শিবিরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি দ্রুত প্রকাশ করুন। আপনাদের উপর কোন ধরণের সন্ত্রাস আমরা হতে দিবো না।গুপ্ত রাজনৈতিক বাইরে এসে শিক্ষার্থী বান্ধব ছাত্র সংগঠন হয়ে ফিরে আসুন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন , ঐতিহাসিক ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে সহিংসতার রাজনীতি ফিরে আসছে। ছাত্রদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলা করা হয়েছে। গতকালের শিক্ষার্থীর উপর শিবিরের কর্মী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
৯০ এর গণ অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সহিংসতা দেখা গিয়েছিল।বর্তমান বাংলাদেশের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর বলতে চাই চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা।আপনারা নব্বইয়ের গণ অভ্যুত্থান গড়ে তুলতে পারবেন না।
অন্য বক্তারা বলেন, পুনরায় সহিংসতা করার চেষ্টা করলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করবে।অতি দ্রুত হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।