তিস্তার পানি উজাড় করেও সেচ চাহিদায় ঘাটতি
-
-
|

রেগুলেটর গেট
এক সময়ের প্রমত্তা তিস্তায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে চলতি সেচ মৌসুমের শুরু থেকেই পানি প্রবাহিত হচ্ছে ক্ষীণধারায়। তিস্তা সেচ প্রকল্পে চাহিদা অনুযায়ী সেচ সুবিধা দিতে মূল ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট বন্ধ রেখে ক্যানেল হেড রেগুলেটরের ৮টি গেট দিয়ে নেওয়া হচ্ছে পানি। তা দিয়ে চলছে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা।
চলতি মৌসুমে ডালিয়া, নীলফামারী, সৈয়দপুর ও রংপুরের ৮৩ হাজার হেক্টর জমিকে সেচ যোগ্য এলাকা ঘোষণা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তিস্তার সবটুকু পানি উজাড় করে দিয়েও প্রান্তিক পর্যায়ে সেচ সুবিধা না পাওয়ায় সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছে কৃষকরা। বেশ কয়েকটি সেচ খালের শেষ প্রান্তে পৌঁছেনি প্রকল্পের পানি। এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক।
সেচ কার্যক্রম চালাতে ব্যারেজের সবকটি জলকপাট বন্ধ রাখায় ভাটিতে তিস্তা এখন ধু ধু বালুচর। তিস্তার বুকে এ বালুচরকে শিশু কিশোররা এখন খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছে। তিস্তায় পানি না থাকায় মাছ নির্ভর জেলে পরিবারগুলোর চলছে চরম দুর্দিন।
পরিবেশ রক্ষা, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর স্বাভাবিক রাখা আর সেচ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ভারতের সাথে তিস্তার পানি চুক্তির দাবির কথা জানিয়ে স্থানীয়রা জানান, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা এবং এক সময়ের প্রমত্তা তিস্তা বাঁচাতে সরকারের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, তিস্তায় পানি পাওয়া গেলে প্রকল্পের পুরো এলাকায় সেচ দেওয়া সম্ভব। পুরো এলাকা সেচের আওতায় আনা গেলে উৎপাদিত ফসল জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে।