বিস্তীর্ণ বালুচরে ঘোড়ার গাড়ি একমাত্র বাহন
-
-
|

বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের মানুষের ঘোড়ার গাড়ি একমাত্র বাহন। ছবি: বার্তা২৪.কম
উত্তর জনপদের নদী বেষ্টিত জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার বুক চিরে বয়ে গেছে তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদী। এসব নদীতে জেগে উঠেছে দেড় শতাধিক বালুচর। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের মানুষের ঘোড়ার গাড়ি একমাত্র বাহন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের কড়াইবাড়ি, রায়দাস, কুন্দেরপাড়া ও বাটকামারিসহ আরও বেশ কিছু এলাকায় যেদিকে চোখ যায় শুধু ধু ধু বালুচর। এখানকার দুর্গম চরগুলোতে বসবাস করছে হাজারো পরিবার। বর্ষা মৌসুমে তাদের চলাচলের একমাত্র বাহন নৌকা। আর শুষ্ক মৌসুমে চলাচলের একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি।
রায়দাস চরের বাসিন্দা নাজমল হক বলেন, ‘আমাদের চরে ভুট্টা, গম, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ চাষ করা হয়। এসব ফসল ঘরে তোলার পর নদীর ওপারে গাইবান্ধার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়। যা বহন করতে ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র অবলম্বন। এছাড়া যানবাহন হিসেবেও ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করে চরবাসী।
বাটকামারি চরের ঘোড়ার গাড়ির মালিক খাদেম আলী জানান, শুষ্ক মৌসুমে তার আয়ের প্রধান অবলম্বন ঘোড়ার গাড়ি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার করেন তিনি। এই টাকা দিয়ে চার সদস্যের সংসার চালান তিনি।
কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম জানান, চরাঞ্চলের মানুষরা তাদের উৎপাদিত ফসল ও অন্যান্য মালামাল ঘোড়ার গাড়িতে বহন করে আসছেন। এছাড়া তাদের উপায় নেই।