নোয়াখালীতে দোকান পোড়ানোর মামলায় চেয়ারম্যানসহ ৫ জন জেলে
-
-
|

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র/ছবি: বার্তা২৪.কম
নোয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় এক বাসিন্দার দোকান পোড়ানোর অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নং চরমটুয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ইউপি সদস্য ফিরোজ আলম, চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মোরশেদ আলম, চেয়ারম্যানের অনুগত বাদশাহ মিয়া।
বাদী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য ও নিজের প্রভাব বিস্তার করতে গতবছর ৬ জুন নিজ সীমান্তবর্তী আরেক ইউনিয়নের (২০ নং আন্ডারচরের) বাসিন্দা আবুল কাশেমের একটি মার্কেটে লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ড চালান চেয়ারম্যান। এতে আবুল কাশেমের তিনটি কনফেকশনারি, একটি ফার্মেসি ও মুদি দোকানসহ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে উল্টো হত্যা চেষ্টার মামলা করেন চেয়ারম্যান নুরুল।
পরে আবুল কাশেম বাদী হয়ে নুরুলকে প্রধান আসামি করে মোট ১৬ জন সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে দোকানে অগ্নিকাণ্ড ও লুটপাটের মামলা করেন নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। মামলার উচ্চতর তদন্তের জন্য আদালত পিবিআইকে (ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো অফ পুলিশ) দায়িত্ব দেয়। পরে পিবিআই তদন্ত শেষে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ মর্মে আবুল কাশেমের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
মামলার নয় মাস পর সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নুরুল আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।