জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে পাশ কাটিয়ে ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের ডাক দিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কাউন্সিলের তারিখ উল্লেখ করে প্রস্তুতি কমিটিও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বিরোধী দলীয় নেতার স্বাক্ষরে পাঠানো এক চিঠিতে একথা জানানো হয়েছে। রওশন এরশাদের ওই চিঠির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাপার অনেক নেতাকর্মীই। অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে একে জিএম কাদের বিরোধী ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে প্রতিহত করার ডাক দিচ্ছেন।
প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বেগম রওশন এরশাদকে। সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন তার রাজনৈতিক সচিব ও এরশাদ মুক্তি পরিষদের সাবেক সভাপতি গোলাম মসীহ্কে। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, আবু হোসেন বাবলা এমপি, সালমা ইসলাম এমপি।
রওশন এরশাদ লিখেছেন, বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জাতীয় পার্টির ভূমিকা অত্যন্ত দুর্বল। আমি সাংগঠনিকভাবে তৃণমূলের কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে যোগ্যতর নেতৃত্ব নির্বাচন এবং বিপরীত গোষ্ঠীর অসৎ আয়ের বিনিময়ে নেতৃত্ব প্রদান এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের বসিয়ে দেওয়ার প্রবণতা জাতীয় পার্টির ঘোষিত নীতির বিপরীত।
স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা সমুন্নত রাখা এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে জাতীয় পার্টিকে একক দল হিসেবে আবির্ভুত হতে হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণে নিজস্ব কর্মীবাহিনী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেশপ্রেমিক লড়াকু সৈনিকদের সমন্বয়ে মূল জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী পার্টি হিসেবে আবির্ভুত হতে হবে। এই কর্মকাণ্ডে যোগ্যতর নেতৃত্ব প্রদানে ব্যর্থতার কারণে কাউন্সিলে জাতীয় পার্টির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন এখন সময় এবং এরশাদ প্রেমিক নেতাকর্মীদের প্রাণের যৌক্তিক দাবি।
তাই জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমি আগামী ২৬ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করছি। পার্টির নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমি।