আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিএনপিকে ১/১১’র মতো মিডিয়া ট্রায়ালের মুখে ফেলা হচ্ছে। দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তাই এখন অনলাইনের সহযোদ্ধাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এতে ৩১ দফার ওপর একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আগামীতে যদি একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের ভোটের সমর্থন বিএনপির পাওয়ার যতবেশি উজ্জ্বল হয়েছে, তত বেশি দেখছি- বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে। সোমবার সকালেও বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় কিছু ঘটনা দেখলাম, দেখার পর কেন্দ্রীয় অফিসে (নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) আমি খবর নিলাম। তারা আমাকে জানালো, ঘটনা ঘটেছে একরকম পত্রিকায় উপস্থাপন করা হয়েছে আরেক রকমভাবে।
তিনি আরও বলেন, একটি মহল বা যারা ষড়যন্ত্র করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে, একই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে; তারা তাদের অবস্থান থেকে এবং তাদের সঙ্গে যেসব মিডিয়া হাউজের সম্পর্ক আছে, তাদের মাধ্যমে ঠিক ১/১১’র সময় যেভাবে বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে এরকম একটি প্রেক্ষাপট কিন্তু তারা তৈরির চেষ্টা করছে।
তারেক রহমান আরও বলেন, যে ষড়যন্ত্র ছিল দেশের জনগণ, গণতন্ত্রের ভিত্তি ও দেশের বিরুদ্ধে, তেমন একটি ষড়যন্ত্র আবারও শুরু হয়েছে। এটি শুধু কথার কথা না। এই রকম একটি ঘটনা দিনদিন গড়ে উঠছে। বাংলাদেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদী শক্তিসহ সব কিছুর বিরুদ্ধে এরকম একটা ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে।
জনগণ যে নির্বাচনে ভোট দিয়ে তাদের মতামত দিতে পারবে সেই নির্বাচনের পক্ষে বিএনপি থাকবে বলেও জানান তারেক রহমান। স্বৈরাচারের আমল থেকে শুরু করে এই মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশে জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কোনো সরকার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, এখানে একজন বক্তা নতুন ভোটের কথা বলেছেন, তাদের কি চিন্তা-ভাবনা। এগুলো এখনো আমরা সঠিক জানি না। আমি তো মনে করি, নতুন যারা ভোটার- এদের কাছে যুক্তি-তর্ক সব কিছু দিয়ে আপনারা (অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট) তাদের মোটিভেট করতে সক্ষম বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনলাইন এক্টিভিস্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যখন থেকে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রের ঘাড়ে স্বৈরাচারে চেপে বসেছিল, তখন থেকে আপনারা সংগঠিত হয়ে জনগণ ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের কথা তুলে ধরেছেন- যে যুদ্ধ আপনারা করেছেন, যার কারণে আপনাদেরকেও বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আপনারা এসেছেন তার জন্য আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এ আয়োজনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা বক্তব্য দেন।