অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে তেতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন সরেজমিনের গেলে স্থানীয়দের তোপের মুখে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে তেতুলিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহিন খসরু ও তেতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত কবির সহ পুলিশ সদস্যরা তোপের মুখে পরেন। এমনকি ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের আক্রমণে আহত হন এক পুলিশ সদস্য।
গত ১৫ জানুয়ারি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে পাথর কোয়ারি গুলোর ইজারার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার নোটিশ প্রকাশিত হলে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। তেতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তেতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর,গনাগছ, ভদ্রেশ্বর, সুকানি, নিজ বাড়ি কালিতলা, কীর্তন পাড়া,বড়বিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতে পানি ছেচার নাম করে ড্রেজার মেশিন এর ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন শুরু হয়।
দীর্ঘদিন ধরে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এবং নদীর তীর ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে। প্রশাসন একাধিকবার এসব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে চলছিল একটি চক্র।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহিন তেতুলিয়া মডেল থানার ওসি এনায়েত কবির। এসব এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তলনের সাইটে অভিযান পরিচালনা করে অভিযানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সাইটে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অবৈধ ব্যবহার করায় ড্রেজার মেশিন পেয়ে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছিল। ইউনুস আলী নামে এক ব্যক্তির সাইটে অভিযান চালাতে গেলে ওই ব্যক্তির লোকজন ও শ্রমিকসহ স্থানীয়দের তোপির মুখে পড়ে প্রশাসন।
এ সময় স্থানীয়দের আঘাতে আহত হন তেতুলিয়া থানার পুলিশ সদস্য মুকাদ্দির। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে বাধ্য হয় প্রশাসন ও পুলিশ।
ঘটনার পরে পাথর বালি যৌথ ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তেতুলিয়া উপজেলার সকল স্থানে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখার মাইকিং করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী দাবি করেন ঘুষ নেয়ার পরেও তেতুলিয়া থানার পুলিশ ড্রেজার ভাঙতে আসায় তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তেতুলিয়া উপজেলার পাথর বালি কমিটির সভাপতি হামিদুল হাসান লাবু বলেন কিছু লোকজন অবৈধ ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করছিল প্রশাসন অভিযানে আসলে তাদের সাথে পাথর উত্তোলনকারীদের সৃষ্টি হয় সংঘর্ষ। আমরা ইজারা না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছি। ইজারার পর পরিবেশ এর শর্ত মেনে পাথর উত্তোলন করতে দেয়া হবে।
তেতুলিয়া মডেল থানার ওসি এনায়েত কবির বলেন আহত পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিয়েছেন এ ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের সনাক্ত করা হচ্ছে এ বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।