গণতন্ত্র উত্তরণের পথ দীর্ঘায়িত করা যাবে না। গণতন্ত্র উত্তরণের পথ দীর্ঘায়িত হলে পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসরারা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত মানবাধিকার নিশ্চিতে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য, আমাদের প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য যত দ্রুত সম্ভব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে হবে। সেই দায়িত্ব বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্র উত্তরণের পথ যত দীর্ঘায়িত হবে, ততবেশি বিভিন্ন রকমের অস্থির পরিস্থিতি তৈরী করার সুযোগ নিবে পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসরারা।
তিনি বলেন, এমন কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তরিকা বাদ ছিল না, যা আ.লীগ অনুশীলন করে নাই। বাংলাদেশে বর্বর এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আর কোথাও হয়নি। সে রকম একজন স্বৈরশাসক এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী প্রধান শেখ হাসিনাকে এখনও আমরা অনুশোচনা করতে দেখি না। আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীকে এখনো গণহত্যার দায় স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়ে, তারপরে বাংলাদেশে রাজনীতি করবে এ কথা বলতে শুনিনি।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যকে সামনে নিয়ে আমরা যদি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশের মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে পারি, তাহলে স্বৈরাচারের আর কখনও উন্মেষ হবে না। রাজনৈতিক সংস্কৃতি দিয়ে মানুষের সামনে বিকল্প রাজনৈতিক সংস্কৃতি উপস্থাপন করতে হবে। তাহলে অটোমেটিক বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ দূর হয়ে যাবে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বর্তমান সময়ে ভোটাধিকার করাটাও আমাদের মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম। যেটা বিগত সময়ে হারিয়ে গিয়েছিল।
আলোচনা সভায় এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।