দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি এবং জননিরাপত্তাহীনতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কার্যকরী কমিটি।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল।
জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সুপ্রতিষ্ঠিত দুইটি মানবাধিকার সংগঠন দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির চাপে 'সেল্ফসেন্সর্ড' গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে খুন, ধর্ষণ, রাস্তাঘাটে নারীর প্রতি সহিংসতা, ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে হত্যা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর হামলা—নির্যাতন—হত্যাসহ নানাভাবে মানবাধিকার লংঘণ, জননিরাপত্তাহীনতা, আইনশৃঙ্খলাহীনতার বিষয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ ও আতংকজনক। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বাইরে ঘটনার সংখ্যা প্রকাশিত ঘটনার চেয়ে আরও অনেক বেশী।
জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুখে সুন্দর সুন্দর কথা বললেও, তাদের সরকারের মেয়াদ ছয় মাসের বেশি হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি এবং জননিরাপত্তাহীনতা দূর করার ক্ষেত্রে তারা দায়িত্ব গ্রহণ করার বদলে দেখেও না দেখার নীতি অবলম্বন করছে। পুলিশের উপর সকল দায় চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ মেটিক্যুলাস ডিজাইনে সুপরিকল্পিতভাবে দেশের প্রায় পাঁচ শত থানায় হামলা চালিয়ে, থানা লুট করে, পুলিশ হত্যা করে ধ্বংস করে দেয়া সমগ্র পুলিশ বিভাগের মনোবল পুনরুদ্ধার করে পুলিশ বিভাগকে পুনর্গঠন ও কার্যকর করার কাজটিকে সরকার তাদের লক্ষ্য ও কাজের অগ্রাধিকার হিসাবে বিবেচনায় নেয় নাই।
জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর হামলা, ভাঙচুর, রাহাজানি, ব্যক্তির উপর হামলাসহ নানাবিধ সুসংগঠিত অপরাধকে উত্তেজিত ছাত্র—জনতার রাজনৈতিক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে, অপরাধীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। দেশে চলমান আইনহীনতা, বিচারহীনতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ও জননিরাপত্তাহীনতার অবসানে দেশের শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন সকল ব্যক্তি ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতাদের সোচ্চার হবার আহবান জানানো হয়।