যশোরের শার্শায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ব্যবসায়ী রোকনউজ্জামান চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই দিন পর মারা গেছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যায় রোকনউজ্জামান।
তিনি উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের উজ্বলপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে, গত বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা-নাভরন হাইওয়ে সড়কের উলাশী বাজারের কুচেমোড়া নামক স্থানে তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে সঙ্গে থাকা ৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এসময় বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তাকে জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ ছিনতাইয়ের টাকা ও জড়িত ৪ জনকে আটক করে। এদিকে পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবার। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজনেরা।
গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা হলেন- যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে হৃদয় হোসেন (২৪), শফিক হোসেনের ছেলে ফয়সাল হোসেন (১৮), একই গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২৫) ও ইসলামপুর গ্রামের রাব্বেল (২৩)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাশা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক কামরুল ইসলাম জানান, বাগআঁচড়া বাজারের মসজিদ মার্কেটে রুহুল আমিনের মালিকানাধীন নারীশ ফিড ডিলারে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন রোকনউজ্জামান।
এর আগে ছিনতাইকারীরা তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে সঙ্গে থাকা টাকার প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে ও ছুকিকাঘাতে জখম করে।
এসময় পথচারীরা এগিয়ে এসে দুই ছিনতাইকারীকে ধরে ফেললেও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় অপর দুই ছিনতাইকারী। পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে আরো দুই ছিনতাইকারীকে আটক ও ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার করে। এদিকে আহত রোকনউজ্জানকে প্রথমে যশোর সদর হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মারা যায় রোকউজ্জামান। এ ব্যাপারে নিহতের শ্যালক রুহুল আমিন বাদী হয়ে শার্শা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
হত্যার শিকার রোকনউদ্দীনের ছেলে তাজবির রায়হান জানান, দিনদুপুরে মহাসড়কে বাইক থামিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা আইনশৃঙ্খলার অবনতি বলে বলে করছেন স্থানীয়রা। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।