হারামাইন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের ইমামদের জন্য চার ধরণের জায়নামাজ নির্ধারণ করেছে, যেগুলো বিভিন্ন নামাজের সময় ব্যবহৃত হয়।
আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মসজিদে হারামের ইমামদের জন্য সংরক্ষিত জায়নামাজগুলো ১৮০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ১২০ সেন্টিমিটার প্রস্থের। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা লোকবল রয়েছে।
শুক্রবারের জুমা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা, বৃষ্টির নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) এবং সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের নামাজের জন্য জায়নামাজের নির্ধারিত রঙ সোনালী।
সুন্নত নামাজের জন্য ব্যবহৃত জায়নামাজটি হালকা সবুজ রঙের। ফজর ও জোহরের ফরজ নামাজের জন্য ব্যবহৃত জায়নামাজ হলো- সম্পূর্ণ সবুজ। আসর, মাগরিব এবং এশার নামাজের জন্য ব্যবহৃত জায়নামাজ ধূসর রঙের।
আগে মসজিদে হারামের ইমামগণ কাবা শরিফকে কেবলা রেখে মাতাফে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতেন। তখন দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাকামে ইবরাহিম চত্বরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। কারণ আল্লাহতায়ালা বলেছেন, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে নামাজেরর জায়গা হিসেবে নির্ধারণ করে নাও। তাই মাকামে ইবরাহিমের দিক থেকে নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া কখনো কখনো অন্যদিক থেকে হয়। বিশেষ করে রাতের নামাজ। তবে এর জন্য কোনো বাধ্যতামূলক রীতি নেই।
তবে বর্তমান সময়ে মানুষের ভিড়ের কারণে শুধু জুমা ও ঈদের নামাজের সময় ইমাম কাবা চত্বরে দাঁড়ান। অন্য ওয়াক্তের সময় ইমাম সাহেব মসজিদে হারামের ভেতরে দাঁড়ান। তখন ইমামের দাঁড়ানোর জায়গা থেকে কাবা পর্যন্ত স্থানটুকু ফাঁকা রাখা হয়। তবে অন্য দিকে নামাজিরা পবিত্র কাবার কাছাকাছি দাঁড়ান।