রমজানের চাঁদ দেখা সুন্নত

রামাদ্বান কারীম, ইসলাম

ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2025-03-01 17:14:39

হিজরি সনে নতুন চাঁদ উদয়ের মাধ্যমে নতুন মাস শুরু হয়। তাই এ হিসাবকে বলা হয় চান্দ্রবর্ষ। ইসলামি জীবনে অনেক আমল চান্দ্রবর্ষের ওপর নির্ভর করে। চাঁদের উদয় ও অস্ত যাওয়া সময় নির্ধারণে সহায়ক। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘লোকজন আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি তাদের বলে দিন, এটি মানুষের (বিভিন্ন কাজকর্ম ও ইবাদতের) এবং (বিশেষত) হজের সময় নির্ধারণ করার জন্য।’ -সুরা বাকারা: ১৮৯

পবিত্র রমজানের রোজাও নতুন চাঁদ দেখে শুরু করতে হয়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের চাঁদ সম্পর্কে ইরশাদ করেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখা আরম্ভ করো এবং চাঁদ দেখে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করো।’ -সহিহ বোখারি: ১৯০৯

নবী কারিম (সা.) রমজানের নতুন চাঁদকে স্বাগত জানাতে উদগ্রীব হয়ে থাকতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের হিসাব অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক গুরুত্বসহকারে রাখতেন। অবশেষে রমজানের চাঁদ দেখে রোজা শুরু করতেন। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান মাসের হিসাব ৩০ দিন পূর্ণ করতেন। এরপর রোজা আরম্ভ করতেন।’ -সুনানে আবু দাউদ: ২৩২৫

সুতরাং রমজানের চাঁদ দেখা একটি ফজিলতপূর্ণ আমল। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা রমজানের (রোজা শুরু করার) জন্য শাবানের চাঁদের হিসাব রাখো।’ -জামে তিরমিজি: ৬৮৭

চাঁদ দেখে দোয়া পড়া সুন্নত। হজরত তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) নতুন চাঁদ দেখলে বলতেন-

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিলয়ুমনি ওয়াল-ইমান, ওয়াস-সালামাতি ওয়াল-ইসলাম রাব্বি ওয়া-রাব্বুকাল্লাহ।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি চাঁদটি আমাদের জন্য বরকত ও ইমানের সঙ্গে এবং শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। (হে চাঁদ) আমার ও তোমার প্রভু আল্লাহ।’ -জামে তিরমিজি: ৩৪৫১, মুসনাদে আহমদ: ১৩৯৭

এ সম্পর্কিত আরও খবর