গাজায় হামলার প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম |

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ভয়াবহ হামলার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ডের বাসভবন হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা। গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বন্ধ এবং গাজা-পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসানের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

গাজার যুদ্ধবিধ্বস্তদের প্রতি সমর্থনের চিহ্ন হিসেবে বিক্ষোভকারীদের অনেকেই কেফিয়েহ নামের ফিলিস্তিনি স্কার্ফ পরেছিলেন। তাদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডও ধরা ছিল। সেসব প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘ইসরায়েলে সব ধরনের মার্কিন সহায়তা বন্ধ কর’, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চাই’, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বোমায় নিহত হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা’ প্রভৃতি বক্তব্য।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার জবাব দিতে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। মধ্যস্থতাকারী ৩ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও ইরাকের ব্যাপক প্রচেষ্টার ফলে প্রায় ১৫ মাস ধরে ভয়াবহ অভিযানের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি দিতে সম্মত হয় ইসরায়েল।

যে চুক্তির ভিত্তিতে ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল, সেটি তিন পর্বে বিভক্ত। প্রথম স্তরে হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মি ও ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে থাকা বন্দি বিনিময়ের পাশাপাশি গাজায় খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ স্বাভাবিক করার শর্ত ছিল। দ্বিতীয় স্তরের শর্ত ছিল যে অবশিষ্ট সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস এবং গাজা থেকে নিজেদের সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেবে ইসরায়েল।

তবে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সেনা সদস্য ইদান আলেক্সান্দারসহ চার জন দ্বৈত নাগরিকের মরদেহ ইসরায়েলকে ফেরত দেয় হামাস। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে ইদান আলেক্সান্দার ও বাকি ৩ জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করেছে হামাস যোদ্ধারা, তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এই নিয়ে দু’পক্ষের টানাপোড়েনের মধ্যেই গত সোমবার রাতে গাজায় ফের সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ অভিযানে নিহত হয়েছেন চার শতাধিক ফিলিস্তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর