প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ডুবে গেছে ইন্দোনেশিয়ার রাজাধানী ও প্রধান অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক কেন্দ্র জাকার্তার বেশ কিছু এলাকা। হঠাৎ বন্যার ফলে এসব এলাকায় বসবাসকারী হাজারো মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছেন।
মঙ্গলবার ( ৪ মার্চ) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় সোমবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি মঙ্গলবার পর্যন্তও অব্যাহত রয়েছে। এতে সেখানে ৩ মিটারের সমপরিমাণ বর্ষণ হয়েছে।
দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টানা বর্ষণের ফলে জাকার্তার বেশ কয়েকটি সড়ক এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়ি-ঘর ডুবে গেছে। বন্যায় বাড়িঘরের পাশাপাশি ডুবে গেছে হাসপাতালসহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবাকেন্দ্রও। অনেক এলাকায়দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সংকট।
স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, জাকার্তার পূর্বাঞ্চলীয় উপশহর বেকাসির হাসপাতাল ,বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশ পনিতে ডুবে গেছে এবং একই সঙ্গে সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংকটের চিত্রও দেখা যায়।
জাকার্তার গভর্নর প্রামোনো আনুং ইতিমধ্যে জাকার্তায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিপদ সংকেত জারি করেছেন। যেসব এলাকায় পানি জমে আছে, পাম্প মেশিনের মাধ্যমে সেসব অঞ্চল থেকে পানি অপসারণের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার থেকেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে জাকার্তায়। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত বিভিন্ন এলাক থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে রাবারের তৈরি নৌকা ব্যবহার করছেন দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত থেমে থেমে কিংবা লাগাতার ভারী বর্ষণ থাকবে রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে।
ইন্দোনেশিয়ার সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাইফুল্লাহ ইউসুফ জানিয়েছেন, আপাতত স্কুল, মসজিদ ও চার্চগুলো অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কেন্দ্রে যারা উপস্থিত হয়েছেন, তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে খাবার, কাপড় ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালেও জাকার্তায় ব্যাপক বন্যা হয়েছিল।