উপস্থাপনা এবং মডেলিংয়ের পর অভিনয়ে এসে অল্প সময়েই দর্শকদের নজর কেড়েছেন আইশা খান। কাজ করে যাচ্ছেন নতুন নতুন নাটকে। ফলে আগের চেয়ে তার ব্যাপারে দর্শকের আগ্রহ বেড়েছে।
আর যে তারকাদের ওপর আগ্রহ থাকে তাদের ব্যক্তিজীবন, পছন্দ-অপছন্দ নিয়েও বেশ চর্চা হয়। সে জন্যই সম্প্রতি একটি গণমাধ্যম তাকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কেমন পাত্র বিয়ে করবেন আইশা!
সেই ভিডিও সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথমে যেটা জানার চেষ্টা করব, সেটা হচ্ছে ছেলে নামাজি কি না। কারণ, আমার মাঝেমধ্যে নামাজ একটু কম পড়া হয়। সেক্ষেত্রে আমার পার্টনারের মধ্যে নিয়মিত নামাজ আদায়ের গুণটা অবশ্যই থাকতে হবে। কারণ, নামাজের জন্যই বাসায় মায়ের কাছে বেশি বকাঝকা শুনতে হয়। নামাজ নিয়ে আমার পরিবারও বেশ সচেতন।
শোবিজে কাজ করলেও আইশার নেই কোনো প্রেমের গুঞ্জন। কেন নেই? উত্তরে আইশা বললেন, স্কুল লাইফ থেকে আমি রাফ এন্ড টাফ পার্সোনালিটি নিয়ে চলাফেরা করতাম। এটার জন্য হয়তো বা কেউ প্রপোজাল বা প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার সাহসটা করতে পারেনি। যারা করেছেন, তাদের সঙ্গে হয়তো কথা বলেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি, একটা সময়ে তাদের কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে চোখে পড়ার পর মনে হয়েছে, দুরত্ব বজায় রাখাই ভালো।
প্রেম না করলেও লাইফ পার্টনার হিসেবে হিসেবে আইশা খান আরও বলেন, ছেলেকে অবশ্যই ভালো ব্যবহার জানতে হবে। কারণ ভালো ব্যবহার-আচারণ আয়ত্তে আনতে সময়ের প্রয়োজন হয়। তাকে অবশ্যই ভালো চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। যিনি সবাইকে সম্মান করতে জানেন।
সবশেষ আইশা বললেন, এই দুইটা গুণের পাশাপাশি সে যদি একটু ট্রাভেল ফ্রিক হয় তাহলেই হবে। কারণ আমি ঘুরতে পছন্দ করি, আমার লাইফ পার্টনারও যদি কষ্ট করে একটু ঘুরতে পারে তাহলেই হবে। বাকিটুকু মানিয়ে নিতে পারবৃহাসি।
লাইফ পার্টনার এখনও খুঁজে না পেলেও, বিয়ের তারিখ কিন্তু ঠিক করে রেখেছেন আইশা। জানালেন, ২১ ডিসেম্বর বিয়ে করবেন তিনি। আর সাল? সেটা অবশ্য এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারলেন না আইশা।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসে সবাই তো ১৬ ডিসেম্বর, ২৫ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর বিয়ে করে। তাই আমি চিন্তা করেছি, আমার বিয়েটা ২১ ডিসেম্বর হবে। যদিও কোন সাল, সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। আগে পাত্র খুঁজে পাই, তারপর ২১ ডিসেম্বর বিয়ে করে নিব।