জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। শেখ হাসিনার পতনের সাত মাস পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। রাজনৈতিক পরিস্থিতিও স্থিতিশীল নয়। রয়েছে অর্থনৈতিক সংকট। পুরো আর্থিক খাত এখন বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
ফুটপাতের ব্যবসায়ী থেকে পাঁচ তারকা শপিং মলের ব্যবসায়ী সবাই বলছেন, দেশের মানুষের হাতে টাকার প্রবাহ যেমন কমে গেছে অন্যদিকে বেড়েছে খরচের বোঝা। ফলে এবারের ঈদে কেনাকাটা অনেক কম হবে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের যৌথভাবে প্রকাশিত পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) সূচকের তথ্যমতে, ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের ব্যবসায় সম্প্রসারণ জানুয়ারির তুলনায় কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে অর্থনীতির সংকট কাটাতে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো এখনো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আগস্টের পর অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। যেখানে নতুন করে কর্মসংস্থান হচ্ছে না সেখানে আবার অনেকে কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছেন।
একই সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কারে নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করতে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। উপরন্তু এখনো অনেক ব্যবসায়ী সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ডলার সংকটও কাটেনি। ফলে এলসি খোলার ক্ষেত্রে এখনো বাধা রয়ে গেছে। ফলে সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়েই রয়েছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল না হওয়ায় এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে শিল্প খাতে নানা রকম অনিশ্চয়তা। এবার যোগ হয়েছে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা। অনেকেই তাকিয়ে আছেন নির্বাচিত সরকার এলে নতুন করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু সে নির্বাচন আদৌ ঘোষিত সময়ের মধ্যে হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিল্প ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে।