রংপুর অঞ্চলে নানা কারণে বোরো মৌসুমে সরকারি বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ধান বীজ অবিক্রিত থাকছে। চলতি মৌসুমে বরাদ্দকৃত বোরো বীজের মধ্যে প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের প্রদান করার পরেও অবিক্রিত রয়েছে ৯৩৬ দশমিক ৬৯৬ মেট্রিক টন। গতবছর বোরো মৌসুমেও ২ হাজার ৯৬৫ মেট্রিকটন বরাদ্দকৃত ধান বীজের মধ্যে অবিক্রিত বীজ ছিলো প্রায় ১ হাজার টন।
শুধু তাই নয় কোন কোন ডিলার তার ধান বীজ বরাদ্দ উত্তোলন করলেও কৃষকের চাহিদা না থাকায় সকল বীজ বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে কৃষকরা যেমন মান সম্পন্ন বীজ ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তেমনি পরবর্তীতে খাবার হিসেবে ধান বীজ বিক্রি করায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বীজ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তদের।
ডিলারদের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, একেক এলাকার কৃষক আলাদা আলাদা ধান আবাদ করেন। তাদের চাহিদা সামনে রেখে বীজ সরবরাহ করা দরকার। বিশেষ করে নতুন জাতের বীজকে জনপ্রিয় করতে কৃষি সম্প্রসারণের সাথে আরো সমন্বিতভাবে কাজ করাসহ প্রচারণায় জোর দিতে হবে।
বিএডিসি রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক (বীজ বিপনন) এর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় (নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর) ২০২৩-২৪ মৌসুমে বোরো ধান বীজের বরাদ্দ ছিলো ২ হাজার ৮০৮ দশমিক ৩২৫ মেট্রিক টন। (কৃষকদের প্রনোদনা হিসেবে ৭শ টন প্রদানসহ) ডিলাররা উত্তোলন করেছেন ১ হাজার ৮৭১ দশমিক ৬১৯ মেট্রিক টন। অবিক্রিত বীজের পরিমাণ ৯৩৬ দশমিক ৬৯৬ মেট্রিক টন। রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় নিবন্ধিত ডিলারের সংখ্যা হচ্ছে ৮৫১ জন।
এবার ২৪টি জাতের বোরো বীজ কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করা হয়েছে। বিএডিসি (বীজ বিপণন) রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. মাসুদ সুলতান বলেন, সারাদেশে বীজের প্রয়োজন হয় প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন।
বিএডিসিসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বীজ উৎপাদন হয় ১লাখ ২৭ হাজারের মতো। তাই বীজ অবিক্রিত থাকার এটি কারণ। এছাড়া কৃষকেরা সহজে নতুন জাত নিতে চায় না ফলে বীজ অবিক্রিত থাকে। অবিক্রিত জাতের মধ্যে প্রায় ব্রি ৮৯ জাত বীজ আছে প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ। এগুলো এখন পুনর্নির্ধারণ দামে বিত্রিু হবে। দাম হবে প্রতি কেজি ৩৩ টাকা থেকে ৩৫ টাকা।