মাহে রমজান হচ্ছে মানবতার মুক্তি সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিলের মাস। এই মাসে নিজেদেরকে পরিপূর্ণ মুত্তাকী হিসেবে গড়ে তোলার শপথ নিতে হবে। এই মাসে কুরআন হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনার পাশাপাশি ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করতে হবে। মাহে রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় ঐক্য অটুট রেখে দেশে ইসলামী জাগরণ তৈরির সুযোগকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, রমজান হচ্ছে বদরের মাস, কদরের মাস। এই মাসে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের শপথ নিতে হবে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিতে হবে। ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এদেশে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের আর কোন সুযোগ দেয়া হবে না। দেশপ্রেমিক জনতাকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে। সর্বোপরি সত্যিকারের মুক্তির জন্য কুরআনের সমাজ বিনির্মাণের বিকল্প নেই। সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবেই ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সিলেট নগরীর আরামবাগস্থ একটি কনভেনশন হলে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
মাহফিলে বিশিষ্ট আইনজীবী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক, সিলেটে কর্মরত ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মী, কবি, সাহিত্যিক, চিকিৎসক পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিত ছিলেন।
মাহফিলে দেশ-জাতির মঙ্গল ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি-সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন সিলেট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। মাহফিলের পূর্বে দারসুল কুরআন ও মাহে রমজানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা পেশ করেন হাফিজ মিফতাহুদ্দীন আহমদ।
মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা.ইসমাইল পাটোয়ারী, লিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসি ড.তাজ উদ্দিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস উন নূর, সিলেট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান ও হাফিজ আনোয়ার হোসাইন খান, সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, বিএনপি নেতা সালেহ আহমদ খসরু, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দিন, এনডিএফ এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রফেসর ডা. আবুল হাশেম চৌধুরী, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক ও প্রফেসর ড.সাইফুল ইসলাম, আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল, সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ড.নুরুল ইসলাম বাবুল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জাহেদুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা ইসলাম উদ্দিন ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শাহীন আহমদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন।