রিজার্ভ যেকোনো সময় শূন্য হয়ে যেতে পারে: জিএম কাদের
-
-
|

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের
রিজার্ভের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, যেকোনো সময় শূন্য হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেছেন, এখনই অনেক দেশ আমাদেরকে আর টাকা ধার দিতে চাচ্ছে না।
রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, রিজার্ভের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। যেকোনো সময় আমাদের রিজার্ভ শূন্য হয়ে যেতে পারে। এখনই অনেক দেশ আমাদেরকে আর টাকা ধার দিতে চাচ্ছে না। আমরা ধার পরিশোধ করতে পারবো কিনা সেটারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আমরা নিজের টাকা দিয়ে করিনি। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে করতে হয়েছে। ব্যাংক থেকে ৬ থেকে ১০ শতাংশ হারে লোন নিয়ে পদ্মা সেতু করেছি। সব শুভঙ্করের ফাঁকি। সরকার এখন শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে উন্নয়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, এরশাদ সাহেব জনগণের কল্যাণে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন, কোনো দুর্নীতি যাতে না হয় তিনি সেই ব্যবস্থা করেছিলে। বর্তমান সরকার বাজেট করে অনেক বাহাদুরি করছে। এরশাদ সাহেব আপনাদের (আওয়ামী লীগ সরকার) মতো জনগণকে কষ্ট দেয়নি, জনগণের ওপর জুলুম করেনি।
জিএম কাদের বলেন, আমাদেরকে উন্নয়নের জন্য বিদেশি ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয়, দেশি ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয়। লোন নিতে নিতে দেশের ব্যাংকগুলোকে খালি করে ফেলা হয়েছে। অনেক বেশি সুদে বিদেশ থেকে লোন নিতে হয়। এখন আমাদের বিদেশি লোন ১০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে হয়ে গেছে।
স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, এই জাতির কল্যাণে যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন তিনি হলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার মধ্যে ক্ষমতার লোভ কখনোই ছিল না। তার নয় বছরের শাসনামলে তিনি শুধু এই জাতির জন্য কাজ করে গেছেন। স্বাধীনতার ৫২ বছরে যারা দেশ শাসন করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই দুর্নীতি করেছেন। কিন্তু, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সবসময় দেশের কাজ করে গেছেন।
আরও বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মতো রাষ্ট্রপ্রধান এদেশে দরকার। তিনি যে কাজগুলো করে গেছেন এদেশের মানুষের বুকে তার নামটি বহমান রয়েছে। তার শাসনামলে এদেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করে গেছেন। এই মহান নেতা যদি আরও কয়েকদিন বেঁচে থাকতেন তাহলে দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে পারতেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করে গেছেন। রাজনীতিতে যত আলোচনা হয় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সবকিছুর মূল কেন্দ্রবিন্দু। এদেশ যতদিন থাকবে ততদিন দেশের মানুষ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্মরণ করবে।
জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফয়সাল চিশতী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত রানা মোহাম্মদ সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম শেরিফা কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদিলুর রহমান, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ.বি.এম. রুহুল আমীন হাওলাদার প্রমুখ।