জামালপুরে আদালত চত্ত্বরে আইনজীবীদের সাথে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে জেলা আদালত চত্ত্বরে আইনজীবী সমিতির সামনে এ ঘটনা ঘটে৷
আহতরা হলেন, জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী শিশির (১৮), হৃদয় আহমেদ (২১) তারিক শেখ (২১) মুয়াজ (১৯) বাকিরা হলেন-খলিলুর রহমান (৮০), আব্দুল আওয়াল (৫৫), ওমর ফারুক (৪৭) ও নজরুল ইসলাম তফাদার (৫৫)
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে দুইটি ধর্ষণের বিচারের দাবিতে শহরের দয়াময়ী চত্বরে মানববন্ধন করে ছাত্র-জনতা। মানববন্ধন শেষে ওই ধর্ষন মামলা দুটির আসামীর পক্ষের আইনজীবীদের সাথে কথা বলতে যায় তারা। এসময় এক অভিযুক্ত আসামীর বয়স ৩২ হওয়া সত্যেও আইনজীবী জাল কাগজ এর মাধ্যমে বয়স ১৬ বানিয়ে ধর্ষকের রিমান্ড না মঞ্জুর এর আবেদন করার বিষয়ে আইনজীবীর সাথে ছাত্র-জনতার বাকবিতন্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেল সম্পাদক আমিনুল এহসান বলেন, আইনজীবীরা ভুল তথ্য দিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন করিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়।
জামালপুর আইনজীবী সমিতির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‘ছাত্ররা একটি মামলাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের সাথে কথা বলতে আসে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এখানে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে৷ আইনজীবীদের লাঞ্চিত করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিত সমস্যার সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
এ প্রসঙ্গে জামালপুর সদর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, আইনজীবীদের সাথে ছাত্রদের ঝামেলা হয়েছে৷ বিষয়টি জানার পর ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি৷