অভিনব কৌশলে কারাগারে প্রবেশ করানো হচ্ছে মোবাইল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন কৌশলে শরীরের ভেতরে করে কারাগারে অভ্যন্তরে মোবাইল ফোন প্রবেশ করানো হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ঝটিকা অভিযানে বিপুল পরিমাণ মোবাইল, মাদক ও নগদ টাকা পাওয়া গেছে।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে কারা সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মোতাহের হোসেন এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কারাগারকে মাদক এবং মোবাইল মুক্ত করার জন্য গত ৩ মাসে শুধু কেরাণীগঞ্জ কারাগারেই ২৭৫টি ঝটিকা তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে কারা অভ্যন্তর হতে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছোট বাটন ফোন এবং মাদক উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।

বর্তমানে কত জন ডিভিশনে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৫১ জন এখন ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এমপি ও সরকারি কর্মকর্তা এমন ২৪ জন আছেন যারা বিভিন্ন কারণে ডিভিশন পাননি। সুবিধা পাচ্ছেন ৩০ জন। সাবেক সংসদ সদস্য আছেন ৩৮ জন। সরকারি কর্মকর্তা আছেন ৭০ জন এবং অন্যান্য আছেন ১৩ জন।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বন্দিরা বাসার খাবার খাচ্ছেন- এমন তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি কোনো বন্দী বাসার খাবার খাচ্ছেন না। কারাগারের ভেতরে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি। কিন্তু রিমান্ডে অথবা আদালতে তোলার সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তখন তারা নানা কিছু করতে পারে।

৫ আস্টের পর পলাতকদের বিষয়ে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, এখনো ৭০০ বন্দী পালাতক আছে। আইশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও জঙ্গি ৭০ জন পলাতকের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৬৯ জন পলাতক আছে। যাদের মধ্যে ৬ জন জঙ্গি, বাকি ৬৩ জন মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি।

সারা দেশের কারাগারে ৪২ হাজার ৮৭৭ জন বন্দীর ধারণক্ষমতা আছে। আজকে পর্যন্ত বন্দী আছে ৭০ হাজার ৬৫ জন বলেও জানান তিনি।

জেলে আটক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে তিনি স্বাভাবিকভাবেই বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমাদের নজরে আসার পরে আমরা তদন্ত করেছি। আমরা ওনার সঙ্গে কথা বলেছি। ওনার ভাষ্য আমাদের কাছে আছে। তিনি আদালতে এসে চিরকুটটা লিখেছেন। পরে প্রিজন ভ্যানে যাওয়ার সময় কোনো না কোনো ভাবে কারো উদ্দেশ্যে ছুড়ে মেরেছেন। এছাড়া ওনারা এক সপ্তাহ পর পর মোবাইলের মাধ্যমে ফোন করার সুবিধা পান। পরিবার অথাবা উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।