বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত জাতি হয়ে যাচ্ছে: এনবিআর চেয়ারম্যান
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
|
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান বলেছেন, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ঋণগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হচ্ছে এবং বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বরিশাল ক্লাব কনফারেন্স কক্ষে এক প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বরিশাল চেম্বার অব কমার্স যৌথভাবে এ সভার আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতাদের সুবিধার্থে অনলাইনে রিটার্ন জমার প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, আয়কর বিভাগের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি দুর্নীতির আশ্রয় নেন বা করদাতাদের হয়রানি করেন, তাহলে তা অনলাইনে অভিযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, একেক জনের জন্য একেক রকম নিয়ম নয়, বরং সকলের জন্য একই নিয়মে ভ্যাট প্রদান ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা হবে। বিশ্বমানের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের রাজস্ব আদায় এখনো অনেক কম। ফলে দেশের উন্নয়নে রাজস্ব বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
বিজ্ঞাপন
সভায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন এবং কর সংক্রান্ত নানা সমস্যা ও হয়রানির অভিযোগ তুলে ধরেন। ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানে হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
রাজধানীর ভাষানটেক এলাকার বিআরপি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। পাশাপাশি বস্তি লাগোয়া ৫ টিরও বেশি দোকান পুড়েছে। দোকানের মালামাল কিছুটা সরিয়ে নেয়া গেলেও সরানো মালামাল লুট হওয়ার অভিযোগ তোলেন দোকান মালিকর ও পুড়ে যাওয়া বাড়ির বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ১০ টার পর বস্তির একটি বাড়িতে আগুনের সূত্রপাত হয়। বাড়িগুলো লাগালাগি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫ টি ইউনিট গিয়ে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
যেভাবে লুট হয় মালামাল:
বিআরপি বস্তির বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। থাকার ঘরের সাথে একটি মুদি দোকান খুলেছেন তিনি। বস্তিতে আগুন লাগার পর দোকানের কর্মচারীর সহায়তায় দোকানের কিছু মালামাল বের করতে শুরু করেন তিনি। শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘরের মালামাল সরাতে ব্যস্ত তার স্ত্রী শিউলি আক্তার। দোকানের কয়েক বস্তা চাল, ডাল সরানো গেলেও ফ্রিজটি ভেতরেই থেকে যায়। আগুনের খবর চারদিকে ছড়িয়ে গেলে আশেপাশের এলাকা থেকে লোকজন আসা শুরু করে। দোকানের মালামাল সড়ানোর সময় নুরুল ইসলাম খেয়াল করেন, তার ফ্রিজটি কয়েকজন লোক দোকান থেকে বের করছেন। লোকজনের সহযোগিতা দেখে তিনি খুশি হলেও বিপত্তি বাধে আগুন নেভার পর। চারপাশে খুঁজেও ফ্রিজটির নাগাল পাননি তিনি। খেয়াল করেন যে, দোকান থেকে উদ্ধার করা মালামালের বেশিরভাগই সবার চোখের সামন দিয়ে লুট হয়েছে।
আহাজারি করছেন নুরুল ইসলাম
নুরুল ইসলাম বলেন, 'বেশিরভাগ তো আগুন খেয়ে দিলো। যা বাকী ছিল সেখান থেকেও মানুষ লুট করছে। হায় আল্লাহ, আমি কার কাছে যাবো এখন। গতকাল ৩ লাখ টাকার মালামাল কিনেছি দোকানের জন্য। আগের ৩ লাখ টাকার মালামাল ছিল। এখন সব মিলিয়ে ২ লাখ টাকারও নাই। আমার সব গেলো।'
শুধু দোকানেই লুটপাট নয়। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পর পড়ে থাকা ছাই নিয়ে যখন বাড়ির মালিকরা আহাজারি করছেন। তখন উদ্ধারকাজের নামে একদল লোক লুটপাটে ব্যস্ত। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল খালি করেন। বস্তির বাসিন্দা ইব্রাহীম বলেন, 'কেউ আসে আগুন নেভাতে। আবার কেউ কেউ আসে সেই সুযোগে লুটপাট করতে। যার যার ঘর নিয়ে সবাই ব্যস্ত। সেই সুযোগে সাহায্য করার নামে কিছু লোক এখানে লুটপাট করেছে।'
আগুনে পুড়ল সবকিছু:
বস্তিতে প্রায় ১ বছর থেকে ভাড়া থাকেন প্রতিবন্ধী সুফিয়া বেগম ও শামসুন্নাহার বেগম। ষাটোর্ধ্ব বয়সের এই দুই বৃদ্ধা ভিক্ষা করে বেঁচে থাকেন। সুফিয়া বেগম প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে চলাফেরা করতে হয় হুইল চেয়ারে। প্রতিদিন মতো সকাল ৬ টায় দুই বোন বেরিয়ে পড়েন ভিক্ষা করতে। দুপুরে ফিরে দেখলেন তাদের ঘরে ছাই ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। ট্রাঙ্কে রাখা কিছু টাকাও পুড়ে ছাই হয়েছে। তারা দুজনেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার পর একে অপরকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। পড়নের কাপড়, সকালের ভিক্ষা করা ৩০০ টাকা ছাড়া তাদের আর কিছুই বেঁচে নেই।
ষাটোর্ধ্ব বয়সের এই দুই বৃদ্ধা ভিক্ষা করে বেঁচে থাকেন
‘কলেজ গেছি, আইসা দেহি আগুন আর আগুন। ট্রাঙ্কের ভিতরে থাকা আমার সার্টিফিকেট গুলাও শ্যাষ। বই গুলাও পুড়ছে।‘ বলছিলেন সাগর নামের এক শিক্ষার্থী।
আগুনে পুড়েছে শিক্ষার্থী সাগরের সব সার্টিফিকেট
আগুন লাগার ঠিক আগে কোলের শিশু ঘুমিয়ে পড়লেও কোলে নিয়েই বাইরে যান মা শিউলি আক্তার। তিনি বলেন, সব পুড়ে শ্যাষ। আল্লাহ আমার কোলের বাচ্চারে নিজ হাতে বাঁচাইচে বাবা। আইজ ওরে কোলে নিয়্যা বাইরা আছিলাম।‘
অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে শিউলি বেগমের কোলের শিশুটি
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া আগুনে হতাহত হয়েছে এমন খবরও পাওয়া যায়নি।
উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
|
ইফতার নিয়ে রোজাদারদের জন্য অপেক্ষায় থাকেন
জাতীয়
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে নিম্ন আয়ের মানুষ ও পথচারীদের জন্য মাসব্যাপী উন্মুক্ত ইফতার আয়োজন করেছে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু।
প্রতিদিন ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেই পৌর শহরের উত্তরবাজার এলাকায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ইফতারে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান যুবদলের নেতাকর্মীরা। ইফতারে খাওয়ানো হয় রান্না করা খিচুরি ও খেজুর।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরীপুর পৌর শহরের উত্তর বাজার এলাকায় প্রতিদিন রান্না করা হয় রোজাদার ব্যক্তিদের জন্য। প্রতিদিন আসরের নামাজ আদায়ের পর উত্তরবাজার নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের বিপরীত পাশে সড়কের পাশে রাখা টেবিলের ওপর সাজিয়ে রাখা হয় সারি সারি ইফতারের প্যাকেট। ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেই এখানে ইফতারের প্যাকেট নিতে ভিড় করেন নিম্ন আয়ের মানুষ ও পথচারীরা। যে যার মতো ইফতারের প্যাকেট নিয়ে যান সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
স্থানীয় রিকশাচালক শাহ জালাল বলেন, সারাদিন রোজা রেখে রিকশা চালাই। বাজারে ইফতার করলে ৫০-৬০ টাকা খরচ হয়। কিন্ত পাপ্পু ভাইয়ের এখান থেকে ইফতার পাওয়ায় আমাদের ওই টাকাটা বেঁচে যায়। শুধু আমি নই আমার মতো অনেকেই এখান থেকে ইফতার নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইফতার আয়োজন করতে প্রতিদিন দুপুর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যুবদলের নেতা-কর্মীরা। নিজেরাই খাবার রান্না করার পাশাপাশি খাবার প্যাকেটজাত করেন। এরপর সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে রোজাদারদের জন্য ইফতার নিয়ে অপেক্ষ করতেন থাকেন তারা।
ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেই রিকশাচালক, অসহায়, দুস্থ ও পথচারীরা এখান থেকে এসে বিনামূল্যে ইফতার নিয়ে যান। পাশাপাশি ইফতারের প্যাকেট হাতে নিয়ে ঘুরে ঘুরে অসহায় ও শ্রমজীবীদের মাঝে বিতরণ করেন যুবদলের নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জহির আলম বলেন, রোজা রাখা যেমন সওয়াবের কাজ। তেমনি রোজাদারদেরও ইফতার করানোও সওয়াবের কাজ। এই প্রতিদিন যুবদলের নেতা-কর্মীরা ইফতারের প্যাকেট নিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ ও পথচারীদের ইফতার করায় এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজাসে মাসব্যাপী উন্মুক্ত ইফতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন তিন শতাধিক মানুষকে ইফতার করানো হয়। রমজানের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া এই ইফতার আয়োজন চলবে রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত।
রাজধানীর জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ডিএমপিসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে সমন্বিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এতে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় ৬৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের বরাত দিয়ে তিনি জানান,গতকাল বুধবার রাত ১২টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে। এরমধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ১১৫টি।
এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে দুই পালায় সিটিটিসির ১৪টি, তিন পালায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এর ১২টি এবং ডিএমপির সাথে রাতে র্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়াও ডিএমপির সাথে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন কর্তৃক ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ১৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন জন ডাকাত, ২৪ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, তিনজন চাঁদাবাজ, তিন জন চোর, ২০ জন চিহ্নিত মাদক কারবারি, ২১ জন পরোয়ানাভূক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী। অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ছয়টি চাকু, একটি ছুরি, একটি চাপাতি, একটি সামুরাই, একটি লোহার রড, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫১ কেজি ২৩০ গ্রাম গাঁজা, ১১৮৭ পিস ইয়াবা ও ৩ গ্রাম হেরোইন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৬৪টি মামলা রুজু করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইউনেস্কো-উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিংয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর
নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
ইউনেস্কো-ইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিংয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর
জাতীয়
ইউনেস্কো ও উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডের মধ্যে রিকশা পেইন্টিংকে বিশ্ব দরবারে অনন্যভাবে উপস্থাপনের জন্য একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ইউনেস্কো এর ঢাকাস্থ সদর দফতরে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে হেড অব অফিস অ্যান্ড রিপ্রেজেন্টেটিভ সুশান ভাইজ এবং উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড এর পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির রহমান তানিম চুক্তিটি স্বাক্ষর করে।
সম্প্রতি ইউনেস্কো রিকশা পেইন্টিংকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় রিকশা পেইন্টিং ও এর সঙ্গে যুক্ত চিত্রশিল্পীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা ও তাদের টেকসই আয় নিশ্চিতকরণ, এবং রিকশা পেইন্টিংয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করতে ইউনেস্কো ও উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড একত্রে কাজ করতে সম্মত হয়। ‘রিকশা পেইন্টিং: এক্সপ্যান্ডিং দ্য ক্যানভাস’ নামক এ প্রকল্পে রিকশা পেইন্টিং এর চিত্রশিল্পীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রদর্শনী রিকশা পেইন্টের সার্বিক বাণিজিকীকরণ, বড় বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে সংযুক্তিকরণসহ বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। চিত্রশিল্পীদের আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি রিকশাপেইন্টিংকে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত করে তোলাই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে সংস্কৃত প্রধান কিযী তাহনিন এবং উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড এর পক্ষ থেকে হেড অব স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং সুমন পাটওয়ারী।