রাউজানে জাহাঙ্গীর হত্যায় জড়িত দুই যুবদল কর্মী গ্রেফতার
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুই যুবদল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, রিভলবার ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নগরের দুই নম্বর গেট এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আরাফাত মামুন (৪৮) ও বিপ্লব বড়ুয়া (৩৫)। পুলিশ জানায়, তারা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী হলেও তাদের কোন পদ-পদবী নেই।
গত ২৪ জানুয়ারি জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে রাউজানের নোয়াপাড়ায় শুঁটকি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার মামাতো ভাই মো. আব্বাস উদ্দিন আহত হন।
পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরের ছেলে মাকসুদ আলম বাদী হয়ে রাউজান থানায় ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ধরা পড়ে। তাদের কাছ থেকে একটি রামদা, দেশীয় এলজি, একটি বিদেশি রিভলবার, ৫ রাউন্ড গুলি ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতার আরাফাত মামুনের বিরুদ্ধে অপহরণ, চাঁদাবাজি, মারামারি, হত্যা ও দ্রুত বিচার আইনে মোট ৮টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুজনই জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাতেন।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও তাদের সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি নগরের আসাদগঞ্জে পাইকারি শুঁটকি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম মিয়ানমার ও মালয়েশিয়া থেকে ফিরে গ্রামের বাড়িতে যান। মোটরসাইকেলে করে মসজিদে যাওয়ার পথে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার পথ আটকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আব্বাস উদ্দিন নামের আরও এক ব্যক্তি।