‘ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ে একটা জার্নির নাম আবরার ফাহাদ’
-
-
|

ছবি: বার্তা২৪.কম
আবরার ফাহাদ শুধু একটা নাম নয় ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ের একটা জার্নি বলে মন্তব্য করেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়ায় শহীদ আবরার স্টেডিয়ামের শুভ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা।
পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আমার মনে আছে পরদিন আমরা কোনকিছু না ভেবে হত্যার বিচার দাবিতে মিছিল করেছিলাম।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, শহীদ আবরার ফাহাদ এর নাম স্মরণীয় করে রাখতেই রাষ্ট্র স্বীকৃতি স্বরুপ এই কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামের নাম আবরার ফাহাদ নামে নামকরণ করা হয়েছে। একইভাবে জুলাইয়ের গনঅভ্যুত্থানে যারা নিহত হয়েছে তাদের নাম যাতে টিকে থাকে এজন্য তাদের নামেও মিনি স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হবে।
কুষ্টিয়ার খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি চর্চার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এই কুষ্টিয়াকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় খেলাধুলাসহ সব সেক্টরে, এখান থেকে জাতীয় খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে এখানে বেশি বেশি খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে। তরুণ সমাজকে মাদকমুক্ত করতে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র এখনও চলমান রয়েছে তাই নানান ছোটখাটো ইস্যুকে কেন্দ্র করে পরাশক্তিররা চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এবং সার্বিক পরিস্থিতি এলোমেলো করতে তারা দিন-রাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ে আবরার ফাহাদ একটা ভিত্তি তৈরি করে গেছে। আমরা সেই লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছি।
অন্তবর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের নানান অবকাঠামোর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এসব উন্নয়নে এবং নতুন বাংলাদেশ গড়তে জনগনের সম্পৃক্ততা কামনা করেন তিনি ।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেরী, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিব আমিনুল ইসলাম এনডিসি, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: রেজাউল মাকসুদ জাহেরী তার বক্তব্যে বলেন, আজকের দিনটি ঐতিহাসিক দিন। কুষ্টিয়াবাসীর কাছে আজকের এই দিনটি যেমন আনন্দের দিন, আবার তেমনি বিষাদেরও দিন।
শহীদ আবরার ফাহাদের পিতা বরকত উল্লাহ বলেন, আবরার ফাহাদ একটি শুধু নামই নয়, সে আমার সন্তান। এই স্টেডিয়ামের নাম আবরার ফাহাদ এর নামে নামকরণ করা হয়েছে। যাতে করে স্মৃতি টিকে থাকবে যুগ যুগান্তর ধরে। কুষ্টিয়াবাসীর দাবিও ছিল তার নামে হোক সেটি। উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টরা করেছে বলে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন তিনি।
এর আগে নামফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।