রাঙামাটি শহরে মাদক কারবার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
রাঙামাটি শহরে মাদক কারবারকে কেন্দ্র করে দু’জনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে।
রোববার (২ মার্চ) দিবাগত রাত ১০ টার সময় শহরের জিমনেসিয়াম এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি খোকন ও রাঙামাটি কলেজের ড্রাইভার সুমন চাকমা মারামারিতে লিপ্ত হয়। এসময় উভয়েই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এই ঘটনায় গুরুত্বর আহত সুমন চাকমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম রেফার্ড করে জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে ছুটে যান রাঙামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মারুফ আহাম্মেদ, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেদ আলীসহ উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ। এসময় আহত সুমন চাকমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণে সার্বিক সহযোগিতাসহ জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন এই ঘটনার সাথে জড়িত খোকনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এসময় রাঙামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মারুফ আহাম্মেদ জানান, আমরা আহতকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আমাদের চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছি।
এদিকে, আহতদের রক্তাক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে এই ঘটনাকে পাহাড়ি-বাঙ্গালি সংঘর্ষ বলে গুজব ছড়াতে থাকে একটি চক্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কয়েকটি পেইজে সুমন চাকমা নামের একজনকে পুলিশের সামনে হত্যা করা হয়েছে!! যুবদল নেতা খোকন জড়িত এমন সব আজগুবি তথ্য দিয়ে রক্তাক্ত ছবি ছড়িয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িক উষ্কানি ছড়ানোর চেষ্ঠা করা হয়।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহেদ আলী হাসপাতালে উপস্থিত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আশ^স্থ করে বলেন, এটি দুই ব্যক্তির মধ্যেকার ঘটনা। আমরা ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত খোকনকে গ্রেফতার করেছি। সে আগেই তালিকাভূক্ত মাদক কারবারি। আমি আপনাদের সকলকে আশ^স্থ করছি যে, এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা পুলিশ গ্রহণ করেছে এবং সার্বিক বিষয়ে পুলিশসহ প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ পর্যবেক্ষণ করছেন। এতে করে অপরাধীরা বিন্দুমাত্র ছাড় পাবে না।
ঘটনার পরপরই হাসপাতাল এলাকাসহ ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি করে টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।