মধ্যরাত থেকে দুই মাস পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাটকা সংরক্ষণে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ ছয়টি নদী অঞ্চল শরিয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলায় দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে শুরু হবে মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। যা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

নিষেধাজ্ঞার সময় নিবন্ধিত ৪০ হাজার ৫ জেলেকে চার কিস্তিতে ১৬০ কেজি করে চাল দেবে সরকার। এ সময় জেলেরা নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করবেন।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে ধরা পড়লে কমপক্ষে এক বছর থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন জেলেরা।

বিজ্ঞাপন

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও নদীতে জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিতে ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল- এই দুই মাস নদীতে সব প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার।

নিষেধাজ্ঞার সময় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভেরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় জাল ফেলা, মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এদিকে অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা টাস্কফোর্স। দুই মাস নিয়মিত জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে।

নিষেধাজ্ঞার খবরে জেলেদের মধ্যে উদ্বেগ প্রকাম করে বরেন, রোজা শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে ২ মাসের জন্য নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা। এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্ট পোহাতে হবে। ২ মাস ও তার আগে পরে ৪ মাসের জন্য চাল দেওয়া হয় ঠিকই। কিন্তু এই চাল দিয়ে তো আর সব হয় না।

জেলেরা আরও বলেন, অধিকাংশ জেলে ধারদেনা ও কিস্তিতে জর্জরিত। এসময় কিস্তি বন্ধ থাকলে আমরা উপকৃত হবো। প্রশাসন যদি কিস্তি বন্ধ রাখে চাপ কমে আসবে।

চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, চাঁদপুর নৌ সীমানার মধ্যে জেলেদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। তারপরও যদি কোন জেলে আইন অমান্য করে নদীতে নেমে জাটকা নিধন করে, তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জাটকা রক্ষায় জেলে পাড়াগুলোতে প্রচার-প্রচারণা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও তাদের জন্য নির্ধারিত চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের মতোই জাটকা রক্ষা অভিযান কঠোর হবে। অভয়াশ্রমে অসাধু জেলেরা যাতে নদীতে নামতে না পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে মৎস্য বিভাগ।