পেঁয়াজ চাষে স্বপ্ন বুনছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পেঁয়াজ চাষে স্বপ্ন বুনছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা

পেঁয়াজ চাষে স্বপ্ন বুনছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগাম জাতের শীতকালীন (কোন্দ) পেঁয়াজ চাষ করে সফল এ জেলার কৃষকরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে এ বছর ১ হাজার ৮শ ৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন 'কোন্দ' জাতের পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। 

কৃষকরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসা ও নায্য দাম পেলে ভাল লাভের আশা তাদের। এ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান। আর কৃষি বিভাগ বলছেন, আগাম জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসলে পেঁয়াজের দাম সাশ্রয় হবে। এ ব্যাপারে কৃষকদের বিভিন্নভাবে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন কৃষি বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

মাঠ জুড়ে শীতকালীন কোন্দ জাতের পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। এ যেন সবুজের সমারোহ। গত বছর ভাল দাম পাওয়ায় এ বছর মাঠ কে মাঠ শীতকালীন (কোন্দ) আগাম জাতের পেঁয়াজ লাগান কৃষকরা। অক্টোবর মাসের ১ম সপ্তাহের দিকে এ জাতের পেঁয়াজ রোপন করেন ডিসেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহে এ পেঁয়াজ বাজার উঠতে শুরু করবে।

কৃষক মজিবুর রহমান জানান, আগাম জাতের পেঁয়াজের বীজ লাগানো আছে। সমানে ডিসেম্বরে জমি থেকে পেঁয়াজ উঠানো হবে। আমার মতো অনেক কৃষকই প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম পেতে পারে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত। তবে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা পেঁয়াজের দাম পেলেও আমরা যারা পেঁয়াজ চাষ করছি তাও লাভ থাকবে। আমাদের এ মাঠে শুধুই পেঁয়াজ চাষবাদ হয়ে থাকে। এখন সবাই কৃষক পেঁয়াজের পেছনে সময় ব্যয় করছে ভালো ফলনের আশায়।

বিজ্ঞাপন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষক জহুরুল ইসলাম জানান, আমি ৬ বিঘা আগাম জাতের পেঁয়াজ লাগিয়েছি। প্রতি বিঘা পেঁয়াজ ১ লাখ ২০ হাজার খরচ হলেও প্রতি বিঘা জমিতে ৯০ থেকে ১০০ মণ পেয়াজ পাওয়া যায়। খরচ বাদসাদ দিয়ে ৮০-৯০ হাজার টাকা লাভ থাকবে প্রতি বিঘাতে। এ বছর আমার সবগুলো জমিতে আগাম জাতের পেঁয়াজ খুব ভালো হয়েছে। কোন ধরনের দুর্ঘটনা না হলে বেশ ভালোই লাভ হবে।

মতিউর রহমান নামে কৃষক জানান, আমরা লাভের আশায় লাগালেও আমরা লাভ করতে পারছি না। কারণ পেঁয়াজ উঠানোর সময় হঠাৎ করেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসে এবং সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। তাই আগাম জাতের পেঁয়াজ উঠানোর সময় যাতে কোন ধরনের ভারতীয় পেঁয়াজ না আসে। তা না হলে আমরা লোকসানের মধ্যে পড়ে যাবো। এ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকরা যাতে কোন রকম লোকসানে না পড়ে সেদিকে নজর রাখার পাশাপাশি নায্য দাম নির্ধারণ করে দিবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

কৃষকরা জানান, শীতকালীন কোন্দ জাতের পেঁয়াজে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রেসহ নিড়ানীর কাজ করা হচ্ছে। স্প্রে করা হচ্ছে যাতে কোন ধরনের পোকা মাকড় না লাগে। স্প্রে ও কীটনাশকের দাম এ বছর একটু বেশি মনে হচ্ছে। সেই সাথে গত বছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুন টাকা দিয়ে পেঁয়াজের বীজ ক্রয় করা হয়েছে। আমরা আগাম জাতের পেঁয়াজের বীজ পেতে চাই কৃষি বিভাগের কাছে।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, আগাম জাতের শীতকালীন কোন্দ জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসলে পেঁয়াজের দাম সাশ্রয় হবে। জেলায় চলতি বছরে শীতকালীন আগাম জাতের কোন্দ পেঁয়াজ ও ছাচি পেঁয়াজ চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে।