বাংলাদেশকে কটাক্ষের প্রতিবাদে বিলোনিয়াতে বিক্ষোভ
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া স্থলবন্দরে ভারতীয় সীমানা থেকে বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে ভারতীয়দের বিক্ষোভ, উগ্র বক্তব্য ও স্লোগানসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে অস্ত্র-লাঠি হাতে নিয়ে হুমকির প্রতিবাদ এবং আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পরশুরামের বিলোনিয়া স্থলবন্দর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ সংলগ্নে ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
এ সময় 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা', 'ত্রিপুরা না ফেনী, ফেনী-ফেনী', 'জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো', 'হাইকমিশনে হামলা কেন, দিল্লি তুই জবাব দে', 'ভারতীয় আগ্রাসন নিপাত যাক', 'দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ', 'ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ'-এমন নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মুহাইমিন তাজিম, ওমর ফারুক শুভ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভারতের আগরতলায় যা হয়েছে তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তাদের একটি গোষ্ঠী বিলোনিয়া সীমান্তে নো-ম্যান্সলেন্ডে ঢুকে বাংলাদেশের দিকে মাইক তাক করে নানা উসকানিমূলক বক্তব্য ও উগ্র স্লোগান দিয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ড দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। ভারতের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও ছাত্র-জনতা দেশের প্রশ্নে এক। দেশের যেকোনো সংকটে আমরা প্রাণ দিতে প্রস্তুত রয়েছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। ভারতের এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তাদের উচিত এ দেশ নিয়ে মিথ্যাচার না করে সত্য তুলে ধরা। দেশের যেকোনো সংকটে একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়তে ছাত্র-জনতা প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
এর আগে, সকালে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বাসযোগে পরশুরামের বিলোনিয়া স্থলবন্দর এলাকায় যান শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ কর্মসূচি ঘিরে বিলোনিয়া স্থলবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে স্থলবন্দর এলাকায় পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।