রংপুরের কাউনিয়ায় চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে বাদশা আলম (৫৮) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে কাউনিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের তকিপল বাজার রেলগেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে,কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই চড়ারাহাট এলাকার মৃত মনাই মামুদের ছেলে নিহত বাদশা আলম (৫৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত বাদশা আলম একজন ছাগল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বয়সের ভারে কানে কম শুনতেন। দুপুর ১টা ৩০মিনিটে দিনাজপুর বিরল থেকে লালমনিরহাট বুড়িমারীগামী ৬২ নং কমিউটার ট্রেন কাউনিয়া স্টেশন ছাড়িয়ে তকিপল বাজার পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধ বাদশা আলম ঘটনাস্থলে মারা যান।
দেশের ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনী পাশে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, সবাই মিলে কাজ করলে এই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করা সম্ভব।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদেরকে সংবর্ধনা এবং সেনাবাহিনীর শান্তিকালীন পদক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা যেন দেশ জাতিকে একটি ভালো ও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারি সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি। দেশের যে পরিস্থিতি চলছে, সেখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায় সেভাবে আমরা কাজ করছি।
মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্মরণ করে সেনাপ্রধান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই আজকের এ অবস্থান।দেশের শান্তী রক্ষায় দিনরাত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানটি ঢাকা সেনানিবাসস্থ 'আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স' এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সেনাবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত এবং অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য ও তাদের নিকটাত্মীয়দের সংবর্ধনার জন্য আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন।
এছাড়াও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে শান্তিকালীন সময়ে বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচ জন সেনাবাহিনী পদক (এসবিপি), পাঁচ জন অসামান্য সেবা পদক (ওএসপি) ও ১৮ জন বিশিষ্ট সেবা পদক (বিএসপি) প্রাপ্ত সর্বমোট ২৮ জন সেনাসদস্যকে পদক পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাঁথা এবং শান্তিকালীন পদক প্রাপ্ত সেনাসদস্যদের প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর সেনাসদর এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য, তাদের নিকটাত্মীয়, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যগণ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অবশেষে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় ৭০০ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে এমভি বার আউলিয়া জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে যাত্রা সাধারণত নভেম্বর থেকে শুরু হয়। সরকারের নানা সিদ্ধান্তের কারণে এবছর আজকেই জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য নানা নিয়মকানুন মানতে হবে পর্যটকদের। যেখানে কোনো পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না। সেন্টমার্টিনে যেতে পর্যটকদের প্রয়োজন হচ্ছে ট্রাভেল পাস। ট্রাভেল পাস নিয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এ্যাপস তৈরি করেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার থেকে চলাচলের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যাত্রী সংকটের কারণে নির্ধারিত ‘কেয়ারি সিন্দবাদ’ জাহাজটি ছেড়ে যায়নি।
এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে পরিবেশ অধিদফতরের ১০ টিম। তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাহাজ মনিটরিং, স্ক্যানিংসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে।
সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোনো পর্যটককে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক নিয়ে জাহাজে উঠতে দেওয়া হয়নি। আজকে প্রায় ৭০০’র মতো পর্যটক নিয়ে এমভি বার আউলিয়া জাহাজ এ মৌসুমে প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের জন্য তিনটি জাহাজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে যাচাই-বাছাই করে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সম্প্রতি নাফ নদে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্য সংকটে ও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
১৯ নভেম্বর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটক নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন এবং একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচল নিয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটির কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে পর্যটকদের জাহাজ ছাড়ার জায়গা, অর্থাৎ এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে। পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে কমিটি।
পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে। পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে।
লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আলমগীর হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলমগীর হোসেন রামগতি উপজেলার চরআফজাল এলাকার মৃত সেকান্তর আলী পন্ডিতের ছেলে। এসময় কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ ও তার বোন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ফেরদৌস আলম, এক নারী ও এক শিশু আহত হয়। এদের মধ্যে শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। হাসান আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ফেরদৌস আলমসহ অন্যরা সদর হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে চর আলেকজান্ডার থেকে আলমগীর হোসেনসহ অন্যরা অটোরিকশা যোগে লক্ষ্মীপুরের দিকে আসছিলেন। অটোরিকশাটি লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের ভবানীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছেড়ে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে মারা যান আলমগীর হোসেন। নিহত আলমগীর হোসেন সকালে লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে বাড়ি থেকে বের হন।
অপরদিকে হাসান আহমেদ ও তার বোন কলেজের উদ্দেশ্যেই রওনা হয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসান আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে নেয়ার আগে আলমগীর হোসেন মারা যান। এছাড়া আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে শিক্ষার্থী হাসান আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, যেহেতু এটি একটি দুর্ঘটনা। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত আলমগীর হোসেনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ট্রাক চালকে আটকের চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে বাসের সব যাত্রী অক্ষত ছিলেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টিকে হামলা চালানো হয়েছে বলে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার চান্দিয়ারা এলাকায় একটি ট্রাকের ওভারটেকজনিত কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক সামান্য আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাসটি বেলা ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চান্দিয়ারা এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক দ্রুত ওভারটেক করতে চায়। এ সময় বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে পড়ে। পরে বাসটি সড়কের পাশে থাকা একটি তিন চাকার ডেলিভারী ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ভ্যানচালক ইব্রাহিম (৩০) সামান্য আহত হয়। এ নিয়ে ভ্যানচালক ইব্রাহিম ও শ্যামলী পরিবহনের বাস চালক মোঃ আসাদুল হকের মাঝে তর্ক বিতর্ক হয়।
স্থানীয় লোকজন ভ্যানচালক ইব্রাহিমকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। খবর পেয়ে খাঁটি হাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেকারের মাধ্যমে ভ্যান গাড়িটিকে উদ্ধার করে। এ সময় শ্যামলী পরিবহনের কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান ও ডেলিভারি ভ্যান কর্তৃপক্ষের বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে মীমাংসা করে এবং শ্যামলী বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি হামলা চালানো হয়েছে উলেখ করে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
বাসচালক মো. আসাদুল হক বলেন, ‘একটি ট্রাক ওভারটেক করতে গেলে আমি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যাই। এ সময় পিছনে থাকা একটি তিন চাকার কভার্ডভ্যান ধাক্কা লাগে। এতে ভ্যানটি বাসের পিছনে আটকে যায়। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশকেও অবহিত করা হলে পুলিশ এসে রেকার দিয়ে ভেনটি সরিয়ে নেয়। দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাতপ্রাপ্ত হননি।’
তিনি আরও বলেন, বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের সাথে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কোন বাক-বিতণ্ডা বা কোনো রকম ঝামেলা হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাসে হামলার খবর দেখে আমিও অবাক হয়েছি।
এ বিষয়ে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, চারলেন সড়কের নির্মাণকাজ চলায় সড়কটির বিভিন্ন অংশ সরু অবস্থায় রয়েছে। সকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের বাসটি দুপুরের দিকে চান্দিয়ারা নামক স্থানে দুর্ঘটনা কবলিত হয়। এতে একটি তিন চাকার ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও ভ্যানচালক কর্তৃপক্ষের লোকজন আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ঘটনা নিয়ে কোনরকম হাতাহাতি, হুমকী-ধামকী বা মারামারির ঘটনা ঘটেনি। এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা মাত্র। তবে একটি বিষয় অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ছোট্ট দুর্ঘটনাকে রং দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যা আদৌ সত্য নয়। এখানে অতিরঞ্জিত করার বা সাম্প্রদায়িক গন্ধ খোঁজার কোন সুযোগ নেই। বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর আসছে তার সত্য নয়। তারা কেন এমন করছে আমাদের বোধগম্য নয়।