দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮
সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন-
-
|

দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের সাত কর্মকর্তাসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেন, ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান।
তিনি জানান, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। রোববার (৫ জুন) সকালেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। ডিপোতে বিপুল পরিমাণ ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’ দাহ্য রাসায়নিক রয়েছে।
নিহতের মধ্যে ২৬ জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ১ জন পার্ক ভিউ হাসপাতাল, অন্য ১ জনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে, চমেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ৫২ জন এবং অর্থোপেডিক বিভাগে ১০ ভর্তি রয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ৫২ জন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পোড়া। তাদের বাঁচাতে আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।
নিহতদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যান্টেনডেন্টস মনিরুজ্জামান (৩২), মমিনুল হকের (২৪) বাড়ি বাঁশাখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে। তিনি ফরিদুল আলমের ছেলে। অন্যজন একই উপজেলার পূর্ব চারিয়ার নাপোড়া এলাকার মাহমুদুর রহমানের ছেলে মো. মহিউদ্দীন (২৪), ভোলা জেলার হাবিবুর রহমান (২৬), রবিউল আলম (১৯), বাঁশাখালীর চনপাড়ার এলাকার আবব্দুল মজিদের ছেলে। এর মধ্যে মহিউদ্দীন বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। ডিপোটির মালিক স্মার্ট গ্রুপের এমডি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও ফেনীর দেড়শো সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধে আহত ও মৃতদের আনা নেওয়ার কাজে চারটি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে।