জেলেনস্কি খনিজ চুক্তি সইয়ে প্রস্তুত: ট্রাম্প

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ চুক্তিতে সই করবেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের প্রবেশাধিকার পাবে। ট্রাম্প-জেলেনস্কি খনিজ চুক্তির আর্থিক মূল্য হতে পারে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ কাঁচামালের ৫ শতাংশই ইউক্রেনে রয়েছে। এসব খনিজ ব্যাটারি, ইলেকট্রনিক্স ও চুম্বক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, আমরা আশা করছি জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে এসে এ সপ্তাহেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।  এটি একটি খুব বড় চুক্তি। তিনি আরও বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে মার্কিন করদাতারা তাদের বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাবেন।

কিয়েভ কী পাবে এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেন এরই মধ্যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে। পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম ও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অধিকার তাদের দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কংগ্রেসের তথ্য মতে, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৭৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।

ট্রাম্প-জেলেনস্কির এ চুক্তি নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে। কেননা, এর আগে জেলেনস্কি ৫০০ বিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদের অধিকার সংক্রান্ত একটি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে নতুন এই চুক্তিতে সই করতে তিনি রাজি হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন চুক্তির লাভের ৫০ শতাংশ একটি যৌথ তহবিলে জমা দেবে, যা দেশটির উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে। তবে চুক্তিতে মার্কিন নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।

এই চুক্তি নিয়ে ইউক্রেনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিছু কর্মকর্তা একে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সুযোগ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সুবিধা নেই বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই চুক্তির প্রস্তাবকে কেউ কেউ ঔপনিবেশিক বলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু কিয়েভ এরই মধ্যে দেশটির খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। তবে এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের সম্পর্ক কতটা মজবুত হয়, তা এখন দেখার বিষয়।