ভারত "গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার": তালেবান
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
ভারতকে "গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার" বলে অভিহিত করেছে তালেবান সরকার। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুবাইয়ে তালেবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি দেখা করেছেন। পরে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরা।
বিবৃতিতে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইরানের চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত পাকিস্তানের করাচি এবং গোয়াদর বন্দরগুলোকে পাস কাটিয়ে পণ্যে পরিবহণের জন্য চাবাহার বন্দরকে সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "আফগানিস্তানের ভারসাম্যপূর্ণ এবং অর্থনীতি-কেন্দ্রিক বৈদেশিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্য রাখে।"
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলেছে, নয়াদিল্লি আফগানিস্তানের সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করতে ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করার কথা ভাবছে।
এ বিষয়ে আফগান কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ইতিমধ্যেই প্রত্যাবাসিত আফগান শরণার্থীদের মধ্যে জমি বিতরণ শুরু করেছেন।
হাজার হাজার আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া ভারত বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেছে, আফগান শরণার্থীদের তাদের দেশে ফিরিয়ে দিতে কাজ করবে দিল্লি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শেষের দিকে প্রায় ১০ লাখ আফগানীকে পাকিস্তান ও ইরান তাদের দেশে প্রত্যাবাসন করেছে।
যদিও আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে ভারত-সহ বিশ্বের কোনও দেশই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তারপরও বাণিজ্য, দাতব্য সহায়তা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুবিধায় কাবুলে একটি ছোট মিশন পরিচালনা করছে ভারত। বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশের পাশাপাশি ভারতও বিভিন্ন সময়ে তালেবান প্রশাসনের আওতায় আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে।