ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে মনোনয়ন পাওয়া বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এছাড়াও ভুয়া ফোন কল (সোয়াটিং) করে তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি।
এফবিআই এক বিবৃতিতে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাচিত বেশকিছু মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বোমা হামলা ও সোয়াটিংয়ের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে অবগত ও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
বিবিসি জানায়, গত মঙ্গলবার ও বুধবার ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা, আবাসন, কৃষি ও শ্রম বিভাগের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত অন্তত নয়জনকে এ হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিকেও এ হুমকি দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ওইদিন থেকেই তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্পের নিযুক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সহিংস ও অ-আমেরিকান হুমকির লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
তিনি বলেন, মনোনীতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারীরা দ্রুত কাজ করেছে।
ট্রাম্পের নির্বাচিত জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলিস স্টেফানিকে প্রথমে এই হুমকি দেয়া হয়েছে। তিনিই প্রথম বলেছিলেন যে তার পরিবার ও বাড়ি বোমা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
স্টেফানিকের অফিস বলেছে, তাঁর স্বামী ও তিন বছরের ছেলের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে নিউইয়র্কে থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় এই হুমকি দেয়া হয়।
এরপর প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে মনোনীত পিট হেগসেথও তাঁর এক্স-এ এক পোস্টের মাধ্যমে বোমা হামলার হুমকির কথা জানান।
এক্স-এ তিনি লিখেছেন, "বুধবার সকালে এক পুলিশ অফিসার তাঁর বাড়িতে এসে বোমার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু আমাকে এসব ভয় কিংবা ধমক দিয়ে লাভ হবে না।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে সেবা করার জন্য মনোনিত করেছেন এবং আমি এটাই করতে চাই।"
একই ধরনের হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্পের প্রশাসনের কৃষিমন্ত্রী পদে মনোনয়ন পাওয়া ব্রুক রোলিন্স, আবাসনমন্ত্রী পদে মনোনীত স্কট টার্নার ও শ্রমমন্ত্রী পদে মনোনীত লোরি শাভেজ-ডিরেমার। হুমকি পেয়েছেন ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ। তুমুল বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে তিনি সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এই হুমকির বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খুলেনি ট্রাম্প। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প নিজেও একাধিকবার হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন।