লড়াই থেকে পালানো সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দিল কঙ্গো
বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে পালানোর অভিযোগে পঁচিশ জন সেনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গোর একটি সামরিক আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের আইনজীবী এবং সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের সূত্রে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
উল্লেখ্য, কঙ্গোর সেনাবাহিনী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। পাশাপাশি অন্যান্য মিলিশিয়া সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
এই লড়াইয়ে দেশটির উত্তর কিভু প্রদেশের প্রায় ২.৭ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য কিভু প্রদেশের কেসেগে এবং মাতেম্বে গ্রামে তাদের অবস্থান ত্যাগ করলে বিদ্রোহীরা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অগ্রসর হয়।
এরপরই অবস্থান ত্যাগ তথা পালানোর অভিযোগে ২৭ জন সেনাকে আটক করে দেশটির সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিগান এমবুয়ি কালনজি বলেছেন, ‘পলাতকদের নিকটবর্তী আলিম্বোংগো গ্রামের দোকান থেকে জিনিসপত্র চুরি করতে দেখা গেছে।’
তাদের বিচার করার জন্য গত বুধবার আলিমবোঙ্গোতে একটি সামরিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়। এই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২৫ জনকে চুরি, পালিয়ে যাওয়া এবং আদেশ লঙ্ঘনের জন্য অন্যান্য অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন।
একজন সেনাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অন্য এক সেনাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২৫ জনের মধ্যে একজনকে বাদ দিয়ে সকলেই তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
তাদের আইনজীবী জুলেস মুভওয়েকো বলেছেন, তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ বিভাজন, অপর্যাপ্ত সম্পদ, দুর্বল রসদ এবং দুর্নীতির কারণেচরমভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে কঙ্গোর সামরিক বাহিনী।
দেশটিতে এর আগে কাপুরুষতা এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য গত মে মাসে আট সেনা অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।