ভারতের সিনেমা বাংলাদেশের হলে দেখানোর অনুরোধ দোরাইস্বামীর
-
-
|

ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী
ভারতের বাণিজ্যিক সিনেমা বাংলাদেশের সিনেমা হলে দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় জাদুঘরে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ অনুরোধ করেন তিনি।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, সিনেমা এমনই শিল্প যা সীমানা মানে না। বাংলাদেশ ও ভারতের চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী ও সঙ্গীতে সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে। একে অন্যের সিনেমা বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পেলে দুই দেশের চলচ্চিত্র শিল্প লাভবান হবে। অন্যদিকে সিনেমা হল ও এ সংক্রান্ত অবকাঠামো উন্নয়ন হবে, বিনিয়োগ আসবে।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশে যৌথ প্রযোজনায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগালের বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে। এ ধরনের চলচ্চিত্র শুধু দুই দেশের জন্য নয় বিশ্বে বাজারের একটি দরজা খুলে দেবে। সামনের দিনে আমরা একে অন্যের দেশে লাখে লাখে ঘুরতে যাব এবং আমাদের সিনেমাও একে অন্যের দেশে দেখানো হবে।
দোরাইস্বামী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের যে কোনো ক্ষেত্রে ভারত সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, বিশেষ করে দক্ষতা অর্জন, স্ক্রিপ লেখা, এডিটিং, স্পেশাল এফেক্টে এ সহযোগিতা। সিনেমা, ক্রিকেট ও রাজনীতি দক্ষিণ এশিয়ার জীবন যাত্রার অন্যতম অনুষঙ্গ। ভালো সিনেমা ও সংলাপ শুধু এ অঞ্চলের জন্য নয় সারা বিশ্বের সংস্কৃতি উন্নয়নে ধারক হয়ে উঠে। ‘ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব’ ঢাকাকে বিশ্বের কাছে তার বিশ্বকে ঢাকার কাছে জানালা খুলে দেবে। ভারতের ৩৪টি সিনেমা ও ৩০ জন শিল্পীকে এখানে অংশ নিতে দেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।
রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের স্লোগান ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’। এবারের উৎসবে ৭০টি দেশের ২২৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে বলে আয়োজকদের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে।