মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ মারা গেছেন। রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সাড়ে ৩টায় তার মৃত্যু হয়। বার্তা ২৪.কমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ভাই ম হামিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
ম হামিদ জানান, সোমবার সকাল ১১টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মাহমুদ সাজ্জাদের মরদেহ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নেওয়া হবে। পরে ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়িতে তাকে সমাহিত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
করোনাভাইরাস পরবর্তী জটিলতা নিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’, খান আতাউর রহমানের ‘ঝড়ের পাখি’, ‘আপন পর’’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন সাজ্জাদ। কলেজ জীবন থেকেই মঞ্চনাটকে যুক্ত ছিলেন। নিয়মিত অভিনয় করেছেন টিভি নাটকেও। তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘সকাল সন্ধ্যা’।
বিজ্ঞাপন
মাহমুদ সাজ্জাদের স্ত্রী মমতাজ বেগম; উপল ও অঞ্জন নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। মাহমুদ সাজ্জাদের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে ম হামিদ বাংলাদেশের টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক, তার ছোট ভাই কে এম খালিদ বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন।
‘আলো আসবেই’ কথাটি দেশের মানুষের কাছে চিরচেনা। এ নিয়ে কথা উঠলেই সামনে আসে শিল্পীদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ! যা তৈরি হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে। আর সেখানে যুক্ত হয়েছিলেন শোবিজের একদল শিল্পী। তারা অবস্থান নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে। সেই দলেরই একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিপাকে পড়েছেন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের শিল্পীরা। অনেকেই আবার দিয়েছেন গা ঢাকা। এরই মধ্যে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন—সমালোচনার মুখে গ্রুপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে! তবে তা হয়নি। বিষয়টি জানিয়েছেন সোহানা সাবা নিজেই।
সোহানা সাবা । ছবি: ফেসবুক
এই অভিনেত্রী জানান, এই গ্রুপ থেকে অটো ইনভাইটেশন যাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে সবার সাহায্য চান তিনি। সোহানা সাবা জানালেন, ‘আলো আসবেই’ সেই গ্রুপ থেকে অটো ইনভাইটেশন যাচ্ছে। যা কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারছেন না তিনি। ফলে নতুন করে আবারও বিপাকে পড়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তা সোহানা সাবা বলেন, ‘আমার ফেসবুক থেকে অনেকের কাছে ইনভাইটেশন যাচ্ছে যে, আলো আসবেই গ্রুপের জন্য। এটা কিভাবে যাচ্ছে, আমি জানি না। আমাকে সাহায্য করুন, প্রথমে জানান আমি কিভাবে গ্রুপটা বন্ধ করতে পারি। ইনভাইটেশন যে যাচ্ছে, এটা আমি দিচ্ছি না, কিন্তু এটা যাচ্ছে।’
সোহানা সাবা । ছবি: ফেসবুক
‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস, নায়ক রিয়াজ, অভিনেতা সাজু খাদেম ও অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। আর এতে যুক্ত ছিলেন জায়েদ খান, সাইমন সাদিক, অভিনেত্রী সুজাতা, অরুণা বিশ্বাস, নিপুণ, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, সুইটি, হৃদি হক, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাজু খাদেম, সোহানা সাবা, চন্দন রেজা, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, এস এ হক অলিক, খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকে।
এ সময়ের জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফীর জন্মদিনে কেক কাটার এক ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়! ছবিটিতে মাত্র তিনজন মানুষ, মাঝখানে রাফী, একপাশে তার মা, অন্যপাশে মাথায় কাপড় দেওয়া নায়িকা তমা মির্জা। তারপরই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে বিয়ে করে সংসার করছেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা ও পরিচালক রায়হান রাফী। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টও দিয়েছেন তমা। এ প্রসঙ্গে কথাও বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
তমার ভাষ্য, ‘বিয়ের বিষয়টি পুরোপুরি গুঞ্জন। মিডিয়া থেকে এসব ছড়ানো হচ্ছে। ছোট ছোট ইউটিউব চ্যানেলের কেউ আছেন, যারা রসালো হেডলাইন দিয়ে প্রথমে সংবাদ প্রকাশ করছে। এরপর সেসব ছড়িয়ে পড়ছে।’
তমা মির্জা । ছবি: ফেসবুক
আপনাদের ঘনিষ্ঠ কেউ কি পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিয়ের খবরের তো বিন্দু পরিমাণ সত্যতা নেই। যেহেতু আমরা দুজনে পরিচিত, প্রথমে বন্ধুত্ব, এরপর ভালোবাসা, তারপর বিয়ের সিদ্ধান্ত- এভাবেই তো হয়। কিন্তু বন্ধুত্বের বাইরে রাফীর সঙ্গে আমার বিন্দু পরিমাণ সম্পর্ক নেই। তাই আমার ঘনিষ্ঠজনেরাও বিয়ের মতো খবর ছড়াতে পারে না। বিয়ে অনেক বড় একটা বিষয়- দুইটা পরিবার জড়িত থাকে। আছে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী, মিডিয়ার মানুষও। আমি পাবলিক ফিগার, একজন সাধারণ মানুষ না যে কাজি ডেকে বিয়ে করলাম, কেউ জানলও না। আমার বিশাল সার্কেলও আছে। বিয়ের মতো এত বড় কাজ লুকিয়ে ও গোপনে করতে পারব না। তা ছাড়া রাফীও তো একজন জনপ্রিয় এবং পরীক্ষিত পরিচালক, চাইলে সেও লুকিয়ে বিয়ে করতে পারবে না। এত বাজে রিউমার কেউ ছড়াতে পারে! প্রেমের গুঞ্জন হয়, এটা হয়, সেটা হয়-আমি কোনো মন্তব্য দিই না। কারণ, আমি মনে করি, ইন্ডাস্ট্রিতে যেহেতু কাজ করি, নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা উঠবে। কিন্তু তাই বলে বিয়ের গুঞ্জন! আমি মনে করি, আমাকে কাজের মাধ্যমে আলোচনায় থাকতে হবে। অন্যান্য ব্যক্তিগত বিষয়ে তাই শিগগিরই মন্তব্য করতেও চাই না।’
রায়হান রাফী ও তমা মির্জা । ছবি: ফেসবুক
পরিচালক রাফীর নিজের সম্পর্কও খোলাশা করলেন অভিনেত্রী তমা মির্জা, ‘রাফী হলো আমার পরিবারের একটা অংশ। এই পরিবারের অংশ দিলরুবা আপু (একজন চিকিৎসক), (মডেল ও অভিনয়শিল্পী তানজিয়া) মিথিলাও। তাদের জন্মদিনও উদ্যাপন করি। অন্য দুজন মেয়ে, রাফী ছেলে বলে এখানে সম্পর্কটা ভিন্নভাবে বিশ্লেষণ হবে, তার কোনো অবকাশ নেই। গত এক-দেড় বছর কাজের বাইরে আমি কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করছি না। আগামী দুই বছরও প্রেম, বিয়ে নিয়ে আমার চিন্তা নেই। আপাতত প্রেম-ভালোবাসার মধ্যেও থাকতে চাই না। শুধু কাজে ফোকাস করতে চাই।’
তমা মির্জা । ছবি: ফেসবুক
মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলো রাফী আর তমার মধ্যে দুরত্ব তৈরী হয়েছে। তমাও তা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আঙ্কেল (রাফীর বাবা) মারা যাওয়ার পর আমাদের দুই পরিবারের সম্পর্ক আবারও ঠিক হয়েছে। আঙ্কেল আমাকে প্রচণ্ড আদর করতেন। কথা হচ্ছে, আমার বন্ধুর এত বড় একটা সংকট সময়, আর আমি পাশে থাকব না- সেটা রাফীই হোক বা আমার যে বন্ধুই হোক, চিন্তাই করতে পারি না। আঙ্কেল যেহেতু মারা গেছেন বেশি দিন হয়নি, সে কারণে জন্মদিন উদ্যাপনের পরিকল্পনা কারোরই ছিল না। আমরাও করতে চাইনি। তারপরও তো পরিবারের এক-দুজন-আমরা যারা কাছের মানুষ আছি, তারা তো আর একদমই ভুলে যেতে পারি না। পরদিন তাই সবাই মিলে একটা সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করেছে, যাতে রাফীর মনটা ভালো থাকে। সবাই মিলে আড্ডা দেওয়া। ওখানে সবাই পুরোনো বন্ধু, আমার মতোই।’
তমা মির্জা । ছবি: ফেসবুক
ভবিষ্যতে আপনাদের সম্পর্কটা কোথায় গড়াবে, প্রেম কিংবা বিয়ের মতো কিছু ঘটবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তমা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ কী আমি জানি না। কারণ, আমার ভাগ্যে কী আছে, আমি জানি না। আমি আজকে একটা কথা বলব, কালকে সেই জিনিসটা হবে না, এটা নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করবে বা প্রশ্ন তুলবে, এমন প্রশ্নের সম্মুখীন আমি হতেই চাই না। আমি আমার বর্তমান প্রসঙ্গে জানি, এই বর্তমানে আমি কোনো সম্পর্কে জড়িত নই। গত এক-দেড় বছরে আমি কোনো সম্পর্কে নেই, নিশ্চিত। সামনে কী হবে, সেটা সামনে বলতে পারব। অগ্রিম কিছু বলতে পারব না।’
‘আমলনামা’ নামের ওয়েব সিরিজ-এর পোস্টার
এদিকে, শিগগিরই তমা মির্জার তিনটি নতুন কাজ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। রায়হান রাফীর পরিচালনায় ‘আমলনামা’ নামের ওয়েব সিরিজটি আসবে চরকিতে। ঈদে সিনেমা হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘দাগি’। এছাড়া কলকাতার অঞ্জন দত্ত পরিচালিত সিরিজ ‘দুই বন্ধু’ও রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।
ক্যারিয়ারের সোনালি সময় পার করছেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে এখন পছন্দের শীর্ষে তিনি। সদ্যই ঘোষণা দিয়েছেন অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার। মা হতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী।
তবে সেই সংঙ্গে দুঃসংবাদও এলো কিয়ারা ভক্তদের জন্য। বলিউডর অন্যতম প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘ডন ৩’ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কিয়ারা।
কিয়ারা আদভানি । ছবি: ইন্সটাগ্রাম
অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খানের ক্লাসিক হিট ডন ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমায় এবার কিং খানের জায়গা নিয়েছেন রণবীর সিং। সিনেমাটির ঘোষণার পর থেকেই দশর্কদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। এতে রণবীরের বিপরীতে কিয়ারা আদভানিকে দেখা যাওয়ার কথা ছিলো।
বলিউডের তাবড় নায়িকাদের টেক্কা দিয়ে ‘ডন ৩’ সিনেমায় রণবীর সিংয়ের বিপরীতে নায়িকার চরিত্র ছিনিয়ে নিয়েছিলেন কিয়ারা আদভানি। অভিনেত্রীর অনুরাগীরাও মুখিয়ে ছিলেন তাকে ‘ডন’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দেখার জন্য।
কিয়ারা আদভানি । ছবি: ইন্সটাগ্রাম
তবে সিনেমাটির ঘনিষ্ঠ সূত্র অনুসারে ভারতীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, কিয়ারা বর্তমানে ‘টক্সিক’ এবং ‘ওয়ার ২’ সিনেমার শুটিং গোছাতে ব্যস্ত। এরপরই মাতৃত্বকালীন বিরতি নিতে চাইছেন অভিনেত্রী।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণেই নাকি ফারহানের ‘ডন ৩’-এর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন কিয়ারা। কারণ এই গোটা প্রেগন্যান্সি পর্বটা তিনি পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চান। আর অভিনেত্রীর সিদ্ধান্তকে সসম্মানে মেনে নিয়েছেন নির্মাতারা।
কিয়ারা আদভানি । ছবি: ইন্সটাগ্রাম
অতঃপর ইতিমধ্যেই ‘ডন ৩’র জন্য নতুন নায়িকা খোঁজা শুরু হয়েছে। তবে এখনো কারো নাম নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
অন্যদিকে, ২০২৬ সালে ‘ধুম ৪’-এর শুটিং শুরু করবেন কিয়ারা। এর মাঝেই তার সন্তান আসতে চলেছে। সন্তান জন্মদানের পরই চুক্তিবদ্ধ হওয়া বিগ বাজেটের কিছু সিনেমার কাজ শুরু করবেন কিয়ারা।
কিয়ারা আদভানি । ছবি: ইন্সটাগ্রাম
বুধবার দিবাগত রাত ১০ টায় চিত্রনায়িকা পরীমণির ফেসবুকে ভেসে আসে একটি ছবি। কোন এক সুপুরষের বুকে পরম নির্ভরতায় মাথা গুজে আছেন এই লাস্যময়ী নায়িকা। চোখে মুখে তার তৃপ্তির ছায়া। ক্যাপশনে আবার লাভ ইমোজি জুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘প্রেম ফিরে ফিরে আসুক ভালোবাসা হয়ে... আবার চলে যাক শরতের সাদা শুভ্র মেঘের মতন। শুধু ওই মেঘ গর্জন না হোক। জীবন চলুক জীবনের মতন...’
এই পোস্ট দেখে নেটিজেনদের মধ্যে ফের একবার নায়িকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাতামাতি, সংবাদের শিরোনামে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। কোনো এক পুরুষের বাহুডোরে মাথা রেখে নতুন করে চর্চায় উঠে এসেছেন এ নায়িকা। কে সেই ব্যক্তি? তা নিয়েই এখন ব্যাপক আলোচনা।
পরীমণি
যেখানে ভালোবাসার মানুষের বাহুডোরে দেখা মেলে এই অভিনেত্রীর। সেই ছবি পোস্ট করে জীবনে নতুন করে বসন্তের আগমনী বার্তা দেন পরীমনি। যা মুহূর্তের মধ্যেই নেটদুনিয়ায় ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সেই ছবিতে ভালোবাসার মানুষের মুখ প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।
কেবল হাতটাই দেখা গেছে। তবুও ভক্তদের চোখ থেকে যেন আড়াল করতে পারেননি। অনেকেই পরীর পাশে থাকা মানুষকে সংগীতশিল্পী শেখ সাদী বলে দাবি করছেন। এর কারণ হিসেবে এই গায়কের ব্যবহৃত হাতঘড়ির সঙ্গে পরীমনির পাশে থাকা পুরুষের হাতঘড়ির মিল খুঁজে পাচ্ছেন।
শেখ সাদী ও পরীমণি
এছাড়াও সম্প্রতি সময়ে শেখ সাদীর সঙ্গেই পরীমনির প্রেমের গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে শোবিজাঙ্গনে। যে কারণে ভক্তরাও দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
তাইতো ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ, পেইজে নেটিজেনরা শেখ সাদী ও পরীমনির ‘ভাইরাল’ সেই ছবি নিয়ে একের পর এক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, শেখ সাদীকে আর আড়ালে রাখতে পারলেন না পরীমনি। কেউ আবার, পরীমনি-সাদীর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন।
বিষয়গুলো পরী নিজেও হয়তো খেয়াল করেছেন। যে কারণে বৃহস্পতিবার সকালের আলো ফোটার আগেই সেই ছবি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। উল্টো নিজের সুন্দর একটি শাড়ি পরা ছবি সেখানে যুক্ত করেছেন।
পরীমণি
সম্প্রতি সময়ে তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে পরীমনির প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত একে অন্যেকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন। একজন অপরজনের পোস্ট শেয়ার করছেন। সেখানেও নানা খুনসুটিতে মেতে উঠছেন। সাদীকে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে পরী বলেছেন, ‘সাদী আমার জীবনে একটা জাদুর মতন! আমি মন খুলে যার সাথে নিজের কথাগুলো বলতে পারি। জীবনে খারাপ সময়ে যে পাশে থাকে, আগলে রাখে, সে তো জীবনের আশীর্বাদ হয়ে আসে। ও ঠিক তা–ই আমার কাছে।’
পরীর ছেলের সঙ্গে প্রায়ই সময় কাটান শেখ সাদী
দুজনকে নিয়ে যখন নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে, তখন পরীমনির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ছবি ভক্তদের সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই তারকা জুটি লুকিয়ে চুটিয়ে প্রেম করছেন, এমনটাও মন্তব্য করেছেন অনেকে।